#বর্ধমান: বোরো চাষের জন্য সেচের জল মিলবে তো? এমনই প্রশ্ন ঘুরছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকদের মধ্যে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে সেচ সেবিত হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ন এলাকা। দুর্গাপুর ব্যারাজের গেট ভেঙে সব জল বের হয়ে যাওয়ায় বোরো মরশুমে জল পাওয়া নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা। তবে এ ব্যাপারে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
দুর্গাপুর ব্যারেজের থেকে বারোটি খালের মাধ্যমে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি জেলার রবি ও বোরো চাষের জল দেওয়া হয়। দুর্গাপুর জলাধার জনশূন্য হয়ে পড়ায় সেই জল মিলবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন কৃষকরা। তাঁরা বলছেন, ২০১৭ সালে গেট ভাঙার পর জলাধার জনশূন্য হয়ে পড়েছিল। সেবারও বোরো ও রবি চাষে জল মেলেনি বললেই চলে। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। যদিও সেচ দফতরের বক্তব্য,ওই বছর বৃষ্টি কম হওয়ার জন্যই প্রয়োজনের জল মেলেনি। গেট ভাঙ্গার সঙ্গে জল না পাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম, মেমারি, ভাতার, গলসি, জামালপুর সহ এগারোটি ব্লকে বোরো চাষে ক্যানালের মাধ্যমে জল দেওয়া হয়। জেলার মোট বোরো চাষের এক-তৃতীয়াংশ জমি এই জলের উপর নির্ভরশীল। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১ লক্ষ ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়। গতবছর ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ খালের মাধ্যমে জল দিয়েছিল সেচ দফতর। ২০১৭ সালে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে জল দেওয়া হয়েছিল। সেচ দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার জন্যই চাহিদা অনুযায়ী জল দেওয়া যায়নি। গেট ভাঙ্গার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, দুর্গাপুর ব্যারাজ জলশূন্য হয়ে পড়ায় কৃষকদের অনেকেই চিন্তায় পড়েছেন বলে খবর পাচ্ছি তবে এতে চিন্তিত হবার কিছু নেই। মাইথন পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হলেই দুর্গাপুর জলাধার জলপূর্ণ হয়ে যাবে। এখন মেরামতের প্রয়োজনে এই জলাধার খালি করা হয়েছে। স্বাভাবিক বৃষ্টি হলে বোরো বা রবি চাষের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জল দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। তাছাড়া ওই দুই জলাধারে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল মজুত রয়েছে। তাই সেচের জলের অভাব হবার কথা নয়।
SARADINDU GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।