#বর্ধমান: আকাশে মেঘের দেখা মিলছে। কিন্তু সেই মেঘ থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছে না। তার ফলে চিন্তায় রাজ্যের শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা। বৃষ্টির অভাবে থমকে আমন চাষের জমি তৈরির কাজ। এই বর্ষার মরশুমে জলের এতটাই অভাব দেখা দিয়েছে যে বীজতলা বাঁচিয়ে রাখাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে সরকার বিকল্প সেচের ব্যবস্থা না করলে এ বার ধান চাষ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা।
অন্যবার এই সময় ধান রোয়ার ভরা মরশুম চলে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। জুলাই মাসের প্রথম পক্ষে ধান রোয়ার বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এবার বৃষ্টির অভাবে থমকে গিয়েছে ধান রোয়া। কেউ কেউ পুকুর থেকে জল তুলে ধান রোয়ার কাজ শুরু করেছিলেন। বাকিরা বীজতলা সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন।
এই জেলায় দামোদর ও গঙ্গা তীরবর্তী অনেকে এলাকায় ধানের পর সেই জমিতে আলু চাষ হয়। তাই আলু চাষের কথা মাথায় রেখে বর্ষার শুরুতেই স্বল্পমেয়াদি উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ করেন অনেকেই। কিন্তু এ বার তাতে বাধ সেধেছে বৃষ্টির অভাব।
আরও পড়ুন: অল্প ভাতায় সংসার চলে না, সবজি বিক্রি করেন তৃণমূল কাউন্সিলর
পূর্ব বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান উৎপন্ন হয়। এই জেলার ধানের ওপর রাজ্যের গণবণ্টন ব্যবস্থা অনেক অংশে নির্ভরশীল। এই জেলা থেকেই জঙ্গলমহল-সহ আট জেলায় চাষ সরবরাহ হয়। তাই ধানের উৎপাদনে ক্ষতি হলে গণবণ্টন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মিড ডে মিল-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে তার প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: নিজেরা সঙ সেজে ঝুলনের আয়োজন গ্রামবাসীদের, উল্টোরথে বিশেষ ঝুলনযাত্রা
কৃষকরা বলছেন, ধান রুইতে পর্যাপ্ত জল প্রয়োজন। জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। নচেৎ ধান চাষ বাঁচানো মুশকিল। সেই জায়গায় জমিতে ধুলো উড়ছে। বীজতলা বাঁচিয়ে রাখাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে পুকুর ডোরা থেকে আড়াইশো টাকা ঘণ্টা ধরে সেচের জল দিতে হচ্ছে। পরদিন আবার জলের অভাবে বীজতলা শুকিয়ে যাচ্ছে। এমনিতেই জ্বালানি তেলের দাম আকাশছোঁয়া। এর ফলে চাষের খরচ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দু'একদিনের মধ্যে ভারি বর্ষণ না হলে এবার চাষ করা দায় হয়ে যাবে।
Saradindu Ghoshনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।