#পূর্ব মেদিনীপুর: খরচ নামমাত্র। চাই শুধু জৈব সার। করোনাকালে বাংলার বাগানেই তৈরি হচ্ছে ভিটামিন-সি। ধান ছেড়ে এখন ড্রাগনে মেতে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির দু'নম্বর ব্লকের কৃষকরা। চিকিৎসকদের দাবি, এই ফলে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
দূর থেকে দেখলে মনে হয় ফণী মনসা। কাছে গেলে ভুল ভাঙে। কাঁটা জাতীয় গাছে ঝুলে লাল ফল। ড্রাগন- এই ফল চাষেই মেতে এখন পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি দু'নম্বর ব্লকের কৃষকরা। লকডাউনের কঠিন সময়ে এই চাষ এখনও দিশা দেখাছে স্থানীয় কৃষকদের। পাইলট পর্বে জেলার পাঁচ কৃষকরত্নের হাতে এই গাছের চারা তুলে দিয়েছিল জেলার কৃষি দফতর।
ড্রাগন ফল গাছ মূলত কাঁটা জাতীয়। চাষের খরচ খুব বেশি না। জৈব সারের ব্যবহার করা হয়। একটি টবের মধ্যেই এই গাছের চারা পোঁতা যায়। চারা পোঁতার আঠেরো মাসের মধ্যেই গাছে ফল আসে। একটি ফলে ওজন হয় ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম। কেজি প্রতি চারশো টাকার বেশি দরে বাজারে এই ফল বিক্রি করা হয়।
সম্প্রতি কৃষকরত্ন দেবাশিস হাজরার বাগানে ড্রাগন ফলের চাষ দেখতে এসেছিলেন জেলার কৃষি দফতরের আধিকারিকরা। শুধু চাষের নিরিখে নয়, কৃষি অধিকর্তাদের দাবি করোনাকালে এই ফলে গুণাগুন অনেক বেশি।
এই ফলে থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি। যা মানবদেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। ক্যানসার, ডায়বিটিস সারাতে এই ফল সাহায্য করে। দূর করে মানসিক অবসাদ। ত্বককেও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। এই ফল খেলে বাড়ে হজম শক্তি।
লকডাউনের কঠিন সময়ে এই চাষ জেলার কৃষকদের নতুন দিশা দেখিয়েছে। জেলা কৃষি দফতরের দাবি, আগামী দিনে আরও বেশি করে ড্রাগন ফলের চারা কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।