#নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের সভায় শহিদ পরিবারের উপস্থিতি রাজনৈতিক চমক বলে উল্লেখ করছে। যদিও কোনও শহিদ পরিবার উপস্থিত ছিল না বলেই দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার নন্দীগ্রামে সভা ছিল বিজেপির। নিজের গড় নন্দীগ্রামে সভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে একই মঞ্চে হাজির ছিলেন দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়-কৈলাশ বিজয়বর্গী। আর সেই মঞ্চেই হাজির থাকলেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা। যারা বলছেন তাদের খোঁজ খবর রাখত একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন শহিদ পরিবারের তরফে হাজির ছিলেন শেখ সুফিউল। তিনি তার স্ত্রী আলিয়াকে নিয়েই বিজেপির সভায় এসেছিলেন। তার মেয়ে সানিয়া খাতুন আন্দোলনের সময় মারা যায়। সফিউল জানাচ্ছিলেন, "আমার স্ত্রী গুলি লাগার পরে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিল। প্রায় ১০টা ডাক্তার দেখিয়ে আমার স্ত্রীকে সুস্থ করে তোলে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পরে আমার স্ত্রীর মাসে খরচ ১২ হাজার টাকা করে। যোগাযোগ রাখা থেকে শুরু করে সব সাহায্য এতদিন ধরে শুভেন্দু বাবু করে আসছেন। তাই আমরা উনি যেদিকে আমরাও সেদিকে।" সফিউলের স্ত্রী একই কথা বলছিলেন। তাদের দাবি সকলের খরচ বা দেখভাল শুভেন্দু অধিকারী করে আসছেন।মঞ্চে এসেছিলেন সস্ত্রীক পলাশ গিরি। তার ভাই মারা যায় নন্দীগ্রাম আন্দোলনে।
তিনিও বলছিলেন, "আমরা এই একজন মানুষকেই চিনি। যিনি ২০০৭ সাল থেকে আমাদের পাশে ছিলেন। এত বছর ধরে সব যোগাযোগ দাদা রাখেন " এদের বক্তব্যের সাথে সহমত শেফালি মিত্র। তার শাশুড়ি মারা যান। এদিন মঞ্চে এসে বসেছিলেন শেফালি দেবী৷ তিনি বলছেন, "যা সাহায্য করার দাদাই সব করে। আগে দাদার জন্যই টি এম সি করতাম। এখন দাদা বেরিয়ে গেছে আমিও দাদার ডাকে চলে এসেছি।" শুভেন্দু অধিকারী এদিন জানিয়েছেন, প্রায় ৩০ টি শহিদ পরিবার হাজির হয়েছিলেন তার সভায়। যদিও শহিদ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি মানতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, "শুভেন্দু বাবু মিথ্যা কথা বলছেন। কোনও শহিদ পরিবারের সদস্যরা হাজির হয়নি।ওনারা আমাদের সাথেই আছেন।"প্রসঙ্গত ৪২ শহিদ পরিবারের মধ্যে ৩০ শহিদ পরিবার আজ উপস্থিত ছিল শুভেন্দুর সভায়।