#সুন্দরবন: বিজেপি না করার অপরাধে, আক্রান্ত পরিবার।প্রকাশ্য রাস্তায় বাঁশ দিয়ে পেটালো বিজেপি কর্মীকে।ওই পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলে যোগ দেবার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা পরিমল মৃধা।ওই পরিবারের সমস্ত সদস্য আক্রমণের পর এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ বলে দাবি ওই পরিবারের।
ঘটনাটি ঘটেছে ,দক্ষিণ ২৪ পরগনার ছোট মোল্লাখালির লাহিড়ী পুর অঞ্চলে।নীলকণ্ঠ মন্ডল ও তার পরিবারকে তৃণমূল নেতৃত্ব বহুদিন ধরে তৃণমূলে ঢোকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালবেলা তৃণমূল নেতা পরিমল মৃধা প্রায় সত্তর থেকে আশি জন দলবল নিয়ে বেলা ১০টা নাগাদ, নীলকণ্ঠ মন্ডল এর বাড়িতে চড়াও হয়।হঠাৎ করে আক্রমণের ফলে এলাকার কোনো মানুষ ওদের ঠেকানোর জন্য এগিয়ে যেতে পারেনি। গোটা পরিবারকে যখন মারধর করছিল ,বেগতিক নীলকণ্ঠ বাধা দিতে যায় এগিয়ে যায়।নীলকণ্ঠের বাবাকে খুব মারধর করে বলে অভিযোগ।
যেহেতু ওই পরিবার বিজেপি পার্টির সমর্থক সেইহেতু তাদেরকে মারধর করা হয়। দু'পক্ষের ধস্তাধস্তির সময়, পড়ে গিয়ে আহত হয় পরিমল মৃধা। পরিমল বাবুর মাথা ফেটে গিয়ে রক্তপাত হতে থাকে।সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখান থেকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।মৃধাদের পরিবার সূত্রে খবর এখন পরিমল বাবুর শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল। নীলকন্ঠ তৃণমূলের সমর্থকরা রীতিমতো প্রকাশ্যে বাঁশ দিয়ে মারতে থাকে এবং মেরে হাত ভেঙে দেয়। এই ধরনের মারের দৃশ্যকে,দেখে অনেকে বলেছেন চোর পেটানোর মত।অবশেষে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ এসে ঘটনার সামাল দেয়। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিজেপির দাবি পুলিশ তাদের কোনো অভিযোগ নিতে চাইছে না।
এই সুন্দরবন কোস্টাল থানায় কয়েকদিন আগে, ওই তৃণমূল সমর্থকরা ভাঙচুর চালিয়ে ছিল। এই বিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনো ভাবে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।তবে কোনো কোনো নেতার মতে,লোকসভা ভোটের আগে,এই পরিমল এলাকা দখল করে লিড দিয়েছে।এই ভাবে যদি সন্ত্রাস না করে,তাহলে নিজের দলে ভোট টানতে পারবে না।প্রকাশ্যে অবশ্য কেউ মুখ খুলতে চাইছে না।
SHANKU SANTRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।