বর্ধমান: বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছিল যৌন উত্তেজনা বর্ধক ওষুধ! পুলিশের অভিযানে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য । পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের কুচুটিয়ায় অভিযান চালিয়ে সলমন শেখ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেখান থেকে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, সরঞ্জাম সহ বিভিন্ন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই গ্রামে যৌন উত্তেজনা বর্ধক বিভিন্ন ওষুধ ও তেল তৈরির কারবার দীর্ঘদিনের। গ্রামের অনেকেই এইসব ওষুধ তৈরি করে রাজ্যের একাধিক জেলায় সরবরাহ করে। ওষুধ যায় বিহার, উত্তর প্রদেশেও।
আরও পড়ুন: সর্দি-কাশি নিয়ে বর্ধমান মেডিক্য়ালে নতুন করে ভর্তি ২২ শিশু, কালনায় চালু আলাদা বিভাগ
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুচুটিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে বসে অনেকেই যৌন উত্তেজক তেল, ওষুধ, দাঁতের মাজন, চুলকানি কমার মলম তৈরি করে। সেগুলি আয়ুর্বেদিক বলে চালালেও আসলে তা বেআইনিভাবে রাসায়ানিক মিশিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এরপর বিভিন্ন ব্রান্ডের লেবেলের সঙ্গে মিল রেখে যৌন ক্ষমতা বর্ধক ওষুধের নামকরণ করা হতো। এতে সাধারণ ক্রেতারা আসল নকল বুঝতে পারতেন না।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় অধীর চৌধুরীকে তোপ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অপরূপার
জানা গিয়েছে, ধৃত সলমন শেখ সালার থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করত। সে সব প্যাকেট বন্দি করে বিভিন্ন জেলায় এজেন্ট মারফত বিক্রি করত। এজেন্টরা কমিশনে কাজ করত। তারা মূলত ওষুধগুলি আয়ুর্বেদিক বলে বাজারে চার চাকা নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করত। সাধারণত গরিব মানুষ বসবাস করেন এমন গ্রামকেই টার্গেট করত তারা। এখানে এসব ওষুধ অসম, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, চেন্নাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করত এজেন্টরা। গ্রামের ছেলেরাই এজেন্টের কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে। ধৃত সলমনও এসব কারবার করে প্রচুর টাকা আয় করেছে।
সলমনের বাড়ি থেকে ওষুধের খালি প্যাকেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেগুলি অন্য এক জায়গায় ছাপিয়ে নিয়ে এসেছিল। কলকাতা থেকে সলমন ওষুধের বোতল আনত বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, 'আমরা পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছি। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Purba bardhaman