দক্ষিণবঙ্গ: চেম্বারের বাইরে ফলকে লেখা বড়সড় লম্বা ডিগ্রি। রোগী দেখে ভিজিট নিতেন ৪০০ টাকা। কিন্তু, তিনি নাকি আসল ডাক্তারই নন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে এমনই এক ভিডিও। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে, তিনি নাকি চিকিৎসক না হয়েও দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখেছিলেন বর্ধমানে। রীতিমতো রমরমিয়ে চলত তাঁর চেম্বার। এমন কাণ্ড দেখে চিন্তিত বর্ধমানের বাসিন্দারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, বর্ধমানের খোসবাগানের অতি পরিচিত 'ডাক্তার' গোলাম মোস্তাফাকে কয়েক জন মিলে জেরা করছেন। যদিও যাঁরা জেরা করছেন, তাঁদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। জেরায় নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়ে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইতে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্তকে।
এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বর্ধমান শহরের 'ডাক্তারপাড়া' খোসবাগানে। এখানে একাধিক নামকরা পলি ক্লিনিকের বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে 'ডাঃ গোলাম মোস্তাফার' নাম। সেখানে খুব স্পষ্টভাবেই 'ডাঃ গোলাম মোস্তাফা'র নামের তলায় লেখা রয়েছে, MD DNB Gastro। বাংলায় লেখা গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট ও লিভার বিশেষজ্ঞ। তবে সমাজমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হতেই একাধিক পলিক্লিনিক তড়িঘড়ি অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলেছেন বলে সূত্রের খবর।
কী ভাবে ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়ে বছরের পর বছর সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করে গেলেন এই ব্যক্তি? সেই প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, "এক চেম্বারে রোগী দেখা সেড়ে অন্য চেম্বারে যেতেন 'ভুয়ো' এই চিকিৎসক। একাধিক নার্সিংহোমের সঙ্গেও তাঁর নাম জড়িয়েছিল। যেসব পলিক্লিনিকে ওই চিকিৎসক বসতেন সেখানকার কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। অনেকেই এখন ডিগ্রি সহ ডাক্তারের নেমপ্লেট মুছতে ব্যস্ত।"
আরও পড়ুন: গলা খুসখুস, কথা বলতে সমস্যা! SSKM-এ হঠাৎ হাজির রাজ্যপাল
বাসিন্দারা বলছেন, "বর্ধমানে খোসবাগান এলাকায় হাজারেরও বেশি ডাক্তারের আনাগোনা। সেখানে কোন ডাক্তার আসল আর কে নকল ডিগ্রি লিখে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে, তা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের সক্রিয়তা প্রয়োজন। প্রশাসন সক্রিয় থাকলে এই ধরনের প্রতারণা কমবে।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।