#পুর্ব মেদিনীপুর: উল্টে ভেঙে পড়া বিদ্যুতের খুঁটির তার ডুব দিয়েছে পুকুরের জলে। ঝড়ে ভেঙে পড়া একের পর এক বিদ্যুতের খুঁটি এখনও পড়ে রয়েছে গ্রামের রাস্তাঘাটে। ভালো খুঁটি না পেয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য গাছের ডাল আর বাঁশের মাথায় ইলেক্ট্রিক তার টাঙিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। গাছ আর বাঁশের মাথায় মাথায় বিপজ্জনকভাবে টাঙানো বিদ্যুতের তারের মাধ্যমেই এখন বাড়ির আলো-পাখা চালিয়ে রেখেছেন পুর্ব মেদিনীপুরের বহু গ্রামের বাসিন্দারাই।
ঘুর্ণিঝড় আমফানের পর কেটে গেছে এক মাস সময়কাল। ঘুর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে প্রচুর সংখ্যায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। ঘরবাড়ি, পান বরোজ, গাছপালান ভেঙে ক্ষতির পাশাপাশি হাজার হাজার বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। জেলা বিদ্যুৎ দফতরের হিসেব অনুযায়ী, আমফান ঝড়ে এই জেলায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে প্রায় ৩২ হাজার। গত মাসের ২০ তারিখ যেখানে আমফান ঝড়ে সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়েছে, সেখানে তান্ডবের একমাস পরেও আজও জেলার বহু গ্রামেরই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি।
নন্দকুমার থেকে সুতাহাটা। কিংবা অমৃতবেড়িয়া থেকে সরবেড়িয়া। পুর্ব মেদিনীপুরের বহু গ্রামের বিদ্যুতের হাল আজও পুরো বেহাল অবস্থায় থেকে গেছে। ভাঙা খুঁটির জায়গায় নতুন খুঁটি না আসায় এবং নতুনভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ না আসায় গ্রামের গাছের ডালে ডালে এই বিপজ্জনক ছবিই ধরা পড়ছে। বামুনপুর, কেশবপুর থেকে মাগুরি গ্রাম। বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছে গাছের ডালে ইলেক্ট্রিকের তার বেঁধে। শুধু কি জীবন্ত গাছের ডাল? না, জায়গায় জায়গায় টেলিফোনের খুঁটি থেকে বাঁশের ডগা এবং কাটা গাছের খুঁটির মাথায় ইলেক্ট্রিকের তার বেঁধে মাইলের পর মাইল লম্বা পথ বিদ্যুতের তার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই তারের মাধ্যমে আসা বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন জেলার বহু গ্রামেরই মানুষজন।
সকলের বক্তব্য, উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়েই ষোলো আনার জায়গায় ১৮ আনা বিপদ মাথায় নিয়েই বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি। প্রশাসনকে জানিয়েও কোন কাজ হয়নি বলেও ক্ষোভ জানাচ্ছেন গ্রাহকরা। তাদের বক্তব্য, এভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার ফলে বিপদ শুধু বাড়ির মধ্যেই নেই। একইসঙ্গে রাস্তাতেও চরম বিপদ অপেক্ষা করছে। পথ চলতি মানুষজন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গাছের ওপর ঝুলন্ত বিদ্যুতের তারের কথা ভেবে ভয়ও পাচ্ছেন। এদিকে, গাছের ডাল কিংবা বাঁশের খুঁটির সাহায্যে ইলেক্ট্রিক লাইন নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাদের জানা আছে বলে স্বীকার করেছেন জেলা বিদুৎ আধিকারিকরা। ক্যামেরার সামনে এব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও সমস্যা দ্রুত মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
Sujit Bhowmik
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Amphan, East Midnapore, No Electricity