এগিয়ে বাংলা: বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত ঘাটাল, রাজ্যের উদ্যোগে স্থায়ী নদীবাঁধ

গতবছরের বন্যায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল জীবন। শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে ভেসে এসেছিল দুঃস্বপ্ন। হেলিকপ্টার করে উদ্ধার করা হয় বন্যা দুর্গতদের।

  • Last Updated :
  • Share this:

    #ঘাটাল: গতবছরের বন্যায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল জীবন। শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে ভেসে এসেছিল দুঃস্বপ্ন। হেলিকপ্টার করে উদ্ধার করা হয় বন্যা দুর্গতদের। এ'বছর আর ভয় পাচ্ছে না পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল । রাজ্যের উদ্যোগে বন্যা মোকাবিলায় তৈরি হয়েছে স্থায়ী নদী বাঁধ। ঘাটাল এখন বলছে বর্ষা ভালবাসি।

    বাঁধ ভেঙে শিলাবতীর জল এসেছিল সর্বনাশের মত। ছাব্বিশে জুলাই ঘাটালের প্রতাপপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়ে নদীর জল। ঘরবন্দি হয়ে পড়ে ২২ টি পরিবার। এনডিআরএফ উদ্ধার করে অনেককে। তলব হয় সেনারও

    আটাশে জুলাই দুর্গতদের উদ্ধার করে হেলিকপ্টার। তড়িঘড়ি ১২ িদনের মধ্যে তৈরি হয় রিং বাঁধ। তৎকালীন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও একািধকবার পরিদর্শন করেন বাঁধের কাজ। (ছবি)

    বছর ঘুরে এসেছে আরেক বর্ষাকাল। এবার অবশ্য বৃষ্টিতে ভয় পাচ্ছে না ঘাটাল। বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত পশ্চিম মেদিনীপুরের এই এলাকা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হয়েছে স্থায়ী বাঁধ।

    বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী নদী বাঁধ---------------------------- ১৪০ মিটার দীর্ঘ ও ৫০ ফুট গভীর বাঁধ- প্রথম ধাপে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ- পরে আরও ১.৫ কোটি টাকা খরচ

    গতবছরের স্মৃতি আজও টাটকা। তবে আতঙ্ক কেটেছে ঘাটালবাসীর।

    ক্ষতিগ্রস্ত ২২টি পরিবারকে ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য। গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ঘর তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। সর্বোচ্চ ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। ঘর তৈরির জায়গাও দেবে রাজ্য। বর্ষায় তাই আর চোখ ভিজছে না, মন ভিজছে ঘাটালের।

    First published:

    Tags: Egiye Bangla, Ghatal Flood