#পূর্ব মেদিনীপুর: স্কুল চত্বরে দাঁড়িয়ে হাউ হাউ করে কাঁদছে ছাত্র-ছাত্রীরা! কিন্তু কেন? আসল ঘটনা শুনলে একবারের জন্য হলেও আপনার চোখের কোণাটা চিকচিক করে উঠবে! যেখানে প্রায় নিত্যদিনই সামনে আসছে শিক্ষক হেনস্থার খবর, কখনও আবার প্রকাশ পাচ্ছে পড়ুয়াদের মারধোর করছেন শিক্ষকরা, সেখানে পুর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার এক স্কুলে ফ্রেমবন্দি হল মনভালো করা একটি দৃশ্য!
প্রিয় শিক্ষকের বদলি হয়ে যাচ্ছে অন্য স্কুলে, তাঁকে কিছুতেই ছাড়তে চায় না পড়ুয়ারা, স্কুল চত্বরে ভিড় করে অঝোরে কেঁদে চলেছে ছাত্র-ছাত্রীর দল!শিক্ষককে স্কুল থেকে ছাড়তে না চেয়ে স্কুল চত্বরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই স্কুল কেঁদে ভাসাচ্ছে স্কুল পড়ুয়ারা! উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁশকুড়ার চাপাডালির হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নরেশ রানা নিজের বাড়ির কাছের এক স্কুলে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে। কিন্তু চাঁপাডালি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ভাবতেই পারছে না তাদের প্রিয় প্রধান শিক্ষক আর তাদের কাছে থাকবে না, তাঁর অপত্য স্নেহ-ভালবাসা থেকে তাদের দূরে থাকতে হবে! প্রধান শিক্ষকের অন্যত্র বদলি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না পড়ুয়া থেকে অভিভাবক... কেউই।
আরও পড়ুন: মাটি ফুঁড়ে উঠলেন 'মহাদেব', কোথায় ঘটল এমনটা? এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য...
শনিবার স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, তাদের দাবি, প্রিয় প্রধান শিক্ষককে এই স্কুলেই থাকতে হবে, তাঁকে স্কুল ছেড়ে যেতে দেবে না তারা। পাঁশকুড়া পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চাপাডালি হাইস্কুলে ২০১০ সাল থেকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন নরেশ রানা। যদিও নরেশবাবুর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর দশক গ্রাম এলাকায়। সে কারণেই তিনি নিজের এলাকার স্কুলে বদলি হয়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রিয় প্রধান শিক্ষককে ছাত্র-ছাত্রী থেকে অভিভাবক, কেউই ছাড়তে চান না। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন নরেশবাবু। স্কুলের শিক্ষা থেকে শুরু করে শিক্ষা কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যকলাপে নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। ছাত্র-ছাত্রীদের শুধু শিক্ষক নয়, ভীষণ কাছের মানুষ, আপনার জন ছিলেন।
আরও পড়ুন: কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার চেষ্টা? শত্রুঘ্নকে হারাতে আসানসোলে আর এক বিহারী বাবু!
কিন্তু উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে শব্দের বেগ রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠে তিনি বদলির আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়। সেই মোতাবেক তিনি পাঁশকুড়ার চাঁপাডালি স্কুল ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। তখনই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা তাকে ঘিরে তার চলে যাওয়া আটকে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে চলে যেতেই হবে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক নরেশবাবু। প্রধান শিক্ষকের স্কুল ছাড়ার খবরে মন খারাপ পড়ুয়া-অভিভাবকদের, তাঁদের দাবি, অবসর নেওয়া পর্যন্ত তাঁকে এই স্কুলেই থাকতে হবে!
Sujit Bhowmik
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Midnapore