#পূর্ব বর্ধমান: গাছ কেটে মিলছে কাঠ , সেই কাঠ থেকে তৈরি হচ্ছে কাগজ, তা থেকেই তৈরি হচ্ছে গ্রিটিংস কার্ড। কিন্তু সেই গ্রিটিংস কার্ড থেকেই যদি জন্ম নেয় গাছ তাহলে ? তবে তো গাছের অভাব মিটতে পারে অনেকটাই। সেই ভাবনা থেকেই ইকো গ্রিটিংস কার্ড তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাল্লা রোডের পল্লিমঙ্গল সমিতি।
পূর্ব বর্ধমানের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর নদ। শীতের সকালে দামোদর নদের চরে বর্ধমান থেকে বড়শুল, পাল্লা , জামালপুর পর্যন্ত ২০২০ সালের ইংরাজি নববর্ষে পিকনিক করতে উপচে পরা ভিড়। পাল্লা ও জামালপুর এলাকার পিকনিক করতে আসা বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে পাল্লা রোড পল্লিমঙ্গল সমিতির সদস্যরা। যাঁরা থার্মোকলের পাতা এনেছেন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে শালপাতার থালা। প্লাস্টিকের গ্লাস নিয়ে দেওয়া হচ্ছে কাগজের গ্লাস।
এর সঙ্গেই দেওয়া হচ্ছে ইকো গ্রিটিংস কার্ড । পল্লিমঙ্গল সমিতির আঁকার ক্লাসের ছাত্র ছাত্ররাই এই সমস্ত নতুন বছরের গ্রিটিংস কার্ড তৈরি করেছে। কার্ডের ওপরের আঁকা থেকে কারুকার্য, সবটাই করছে ছাত্র ছাত্রীরা। কার্ডটির বিশেষত্ব হল, এই কার্ডে লোকান থাকছে গাছের বীজ। তাকে বলা হচ্ছে 'সিড ফর ফ্রেন্ডশিপ'।এই কার্ড বাড়ি নিয়ে গিয়ে বীজ মাটিতে পুঁতে তৈরি করা যাবে চারা গাছ। নদীর চড়ে ফেলে গেলে বর্ষার জলে জীবন পাবে এই বীজ। ট্যিসু পেপারে মুড়ে কার্ডে আটকানো থাকছে গাছের বীজ। অনাদারে কার্ড বাড়ির বাইরে ফেলে দিলেও বৃষ্টির জল পেয়ে তৈরি হবে চারাগাছ।
পল্লিমঙ্গল সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার বললেন, বিয়ের কার্ড, মেনু কার্ড বা যত ধরনের বাজার চলতি কার্ড হয় তাতেই এই ইকো গ্রিটিংস কনসেপ্ট প্ল্যান্ট করা সম্ভব। আগ্রহীদের আমরা সাহায্য করব।
উদ্যোক্তারা বললেন, দিন দিন মানুষ পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হচ্ছেন। গতবার আমরা অনেককে শালপাতা, কাগজের গ্লাস দিতে পেরেছিলাম। এবার দেখছি অনেকেই থার্মোকল, প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জন করেছেন। বাসিন্দারা সচেতন হওয়ায় আমরা খুশি। একইভাবে ইকো গ্রিটিংস কার্ড পেয়ে খুশি সকলেই। অনেকেই বাড়ি ফিরে বীজ থেকে গাছ তৈরির আগ্রহ দেখিয়েছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Eco greetings card