হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
আজও জলঘড়ি দেখে সন্ধি পুজোর আয়োজন হয় পূর্ব বর্ধমানের শাঁকারি গ্রামে

আজও জলঘড়ি দেখে সন্ধি পুজোর আয়োজন হয় পূর্ব বর্ধমানের শাঁকারি গ্রামে

১৫ দিন আগে কষ্টিপাথরের শঙ্করী মাকে স্নান করিয়ে পুজো শুরু হয় পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের শাঁকারি গ্রামে। এখানে শঙ্করীমাতার পুজো চলে ১৫ দিন ধরে...

  • Last Updated :
  • Share this:

#বর্ধমান: ১৫ দিন আগে কষ্টিপাথরের শঙ্করী মাকে স্নান করিয়ে পুজো শুরু হয় পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের শাঁকারি গ্রামে। এখানে শঙ্করীমাতার পুজো চলে ১৫ দিন ধরে। অন্যান্যবার মহালয়ার ৭দিন আগে পুজো শুরু হয়। চলে দশমী পর্যন্ত। মায়ের মূর্তি নিয়ে যাওয়া হয় বোস পুকুরের পাড়ে। সেখানে অষ্ট কলসের জলে সহস্র ধারায় মাকে স্নান করিয়ে ঘট তুলে কলা বউ-সহ মাকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রায় ৪০০ বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে।

খন্ডঘোষের শাঁকারি গ্রাম। অধিষ্ঠাত্রী দেবী শঙ্করীর নামেই গ্রামের নামকরণ। শঙ্করীর মূর্তি কালো, কষ্টিপাথরের। ইতিহাসবিদদের মতে, এই মূর্তি ষষ্ঠ শতকের। গ্রামের পাশে দেবখালে চারশো বছর আগে মূর্তিটি পাওয়া যায়।

লোককথা, একদিন স্বপ্নাদেশ পান গ্রামের বাসিন্দা রাঘব রায়। তাঁকে স্বপ্নে পুজো শুরুর নির্দেশ দেন মা। স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবখালের তীরে কাশবনের ভিতর এই মূর্তির দেখা পান রাঘব রায়। গ্রামে এনে প্রতিষ্ঠার জন্য খোঁড়া হয় পুকুর। সেই পুকুরের মাটি ফেলে উঁচু করে তার ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয় মাকে।

আগে দামোদরের বন্যায় প্লাবিত হত এলাকা, তাই উঁচু স্থানে মাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। আজও তামি পেতে জলঘড়ি দেখে মায়ের সন্ধিপুজোর সময় নির্ধারণ করা হয়। পুরনো প্রথা মেনে আজও খালি গলায় হেঁকে আশপাশের পুজো কমিটিগুলিকে পুজোর সংবাদ পাঠানো হয়। শঙ্করী মাতার পুজোর নির্ঘণ্ট মেনে অন্য পুজো অনুষ্ঠিত হয়। বাসিন্দারা জানালেন,  '' এই মন্দিরে নিত্য পূজা হয় পুজোর চার দিন বহু দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। তবে এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। করোনা আবহে  এবার অনেক সাবধানে পুজো আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুজোর সঙ্গে যুক্ত সকলেই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, তাও সুনিশ্চিত করা হবে এখানে। মন্দির চত্বরে ভিড় নিয়ন্ত্রণেও নজরদারি চলবে।''

SARADINDU GHOSH

Published by:Rukmini Mazumder
First published:

Tags: Durga Puja 2020 district-durga-puja-2020 durga-puja-2020