দিন-রাত এক করে ধান ফলিয়েও এখন স্বস্তি নেই,পূর্ব-বর্ধমান জেলার কৃষকদের। তাঁরা বলছেন, উৎপাদিত ধান বিক্রি করতে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষকদের অনেককেই। সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হচ্ছে। সরকার মাথাপিছু নব্বই কুইন্টাল করে ধান কেনার কথা বললেও বাস্তবে তার টোকেন মিলছে না। তারই মধ্যে হঠাৎ করে কিছু রাইস মিল ধান কেনার অক্ষমতার কথা জানানোয় জটিলতা বেড়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে, গলসিতে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার দাবিতে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা।
পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় এখন আলু চাষের কাজ চলছে। তারই মধ্যে চলছে ধান বিক্রির চেষ্টা। এখনও অনেক কৃষক সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারেননি। সব ধান বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত চিন্তায় কৃষকরা। তারই মধ্যেহঠাৎ করে কিছু রাইস মিল কর্তৃপক্ষ সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ আর করতে চাইছেন না। গত সপ্তাহে কৃষকদের এইসব রাইস মিল কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা আর সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করতে পারবে না। সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির জন্য কৃষকদের ব্লক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয় তারা। রাইস মিল কর্তৃপক্ষ ধান কিনতে না চাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন কৃষকরা। তাদের দাবি, অনেকেই ধান বাড়িতে মজুত হয়ে রয়েছে।পাওনাদাররা বারবার টাকার জন্য বাড়িতে আসছেন। অবিলম্বে ধান ক্রয় করতে হবে।
জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে,কিছু রাইস মিল কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার নামে কম দাম দিচ্ছে, খাদ হিসেবে বেশি ধান বাদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছিল।সেই সব অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়। সেই তদন্তে কয়েকটি রাইসমিল বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের ধান কেনার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেজন্যই সংশ্লিষ্ট রাইস মিলগুলি ধান কিনতে পারছে না। এই নিয়ে গত সপ্তাহে কিছু সমস্যা হয়েছিল।সে সব মিটিয়ে ফেলা হয়েছে।
তবে রাইসমিল ছাড়াও কৃষকদের কাছে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করার একাধিক উপায় রয়েছে। রাইস মিলে ধান বিক্রি করে প্রতারিত হতে হচ্ছে মনে হলে কৃষকরা কিষান মান্ডিতে গিয়ে ধান বিক্রি করতে পারেন। কৃষকদের সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির ক্ষেত্রে প্রশাসন সবরকম সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে খাদ্য দপ্তর।