#পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় বেসরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক করতে উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে বাস চলাচল স্বাভাবিক করার ব্যাপারে বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেই বৈঠকে যাত্রী না হওয়ার জন্যই সেভাবে বাস পথে নামছে না বলে জানিয়েছেন বাস মালিকরা। তবে দু-একদিনের মধ্যে সব রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। সেই আশ্বাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলার সব প্রান্তেই দু-একটি করে বেসরকারি বাস পথে নেমেছে। বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘ সময় অন্তর দু একটি বাস যাতায়াত করছে। তাই বাসের ভরসায় বাইরে যাওয়া যাচ্ছে না। বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক রজত নন্দা জানান, বেসরকারি বাস পথে না নামায় বেসরকারি বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলিকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চাওয়া হয়। বাস মালিকরা কর্মীদের জন্য মাস্ক ও স্যানিটাইজার প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন। সেসব সামগ্রী তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকি যা প্রয়োজন তা কিনে নেবেন বলে বাস মালিকেরা আশ্বাস দিয়েছেন। ৫২টি রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। বুধবারের মধ্যে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে। এ'ব্যাপারে প্রশাসন প্রতিদিনই পর্যালোচনা করছে। প্রয়োজনে ফের বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে জানা যায়।
বাস মালিকেরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন বাস স্যানিটাইজ করার পরিকাঠামো অনেকেরই নেই। সে'কথা জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তাছাড়া আড়াই মাস বাস চলাচল বন্ধ থাকাকালীন অনেক বাসের ফিটনেস বা ট্যাক্স বাকি পড়ে গিয়েছে। তার জন্য যাতে জরিমানা না নেওয়া হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। অনেক বাস মালিক আবার চাইছেন, সবকিছু স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হোক। তাঁদের বক্তব্য, হাতেগোনা কয়েকজন যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হচ্ছে। তাতে লোকসান বাড়ছে। এই সময় কিছুটা বাড়তি ভাড়া নিলে লোকসান কিছুটা কমে। পরে সবকিছু স্বাভাবিক হলে তখন পরিস্থিতি বিচার করে বাসের ভাড়া নির্ধারণ করে দেবে সরকার। সে ক্ষেত্রে পুরনো ভাড়াতেও বাস চালাতে রাজি তাঁরা।
তবে প্রশাসনের কাছে বাস চালানোর আশ্বাস দিলেও অনেক বাস মালিক এখনই বাস রাস্তায় নামাতে নারাজ। ৫২টি রুটে বাস চলাচল হচ্ছে বলে তাঁরা প্রশাসনকে জানালেও বাস্তবের সঙ্গে তার মিল নেই বলেই মনে করছেন বাসিন্দারা। বেশিরভাগ বাসই দাঁড়িয়ে থাকছে বাসট্যান্ডগুলিতে। তাই বুধবার যে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে এমনটা ভেবে নিতে পারছেন না বাসিন্দারা।
SARADINDU GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East burdwan bus problem