#বর্ধমান: আলুর দাম কমার কোনও লক্ষনই নেই। জেলা প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও আলুর ফাটকাবাজি চলছে বলে অভিযোগ তুলছেন বাসিন্দারা। জেলার সদর শহর বর্ধমান ও জেলার অনেক বাজারেই কেজি প্রতি তিরিশ টাকা বা তার বেশি ধরে আলু বিক্রি হচ্ছে।এমনিতেই পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। তার ওপর চড়া দামে আলু কিনতে হওয়ায় সমস্যায় জেলার মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের বাসিন্দারা। আলুর বেআইনি মজুদ বন্ধ করতে অভিযানে নামল জেলা কৃষি বিপনন দফতর।
এর আগে বাজারদর নিয়ন্ত্রণের গঠিত টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা মেমারি জামালপুরের বিভিন্ন হিমঘরে অভিযান চালিয়েছিল। সেইসব হিমঘরগুলিতে কত আলু মজুদ রয়েছে, সেইসব আলুর মালিকানা কাদের রয়েছে সেসব ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। এরপর শুক্রবার আলুর বেআইনি মজুত রুখতে আউসগ্রাম এবং গুসকরার বেশ কয়েকটি হিমঘর ও আলুর আড়তগুলিতে অভিযান চালায় কৃষি বিপনন দফতর। ওই দফতরের আধিকারিকরা পুলিশ নিয়ে একের পর এক হিমঘর ও আলুর আড়তে অভিযান চালান। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ছ'টি হিমঘর ও সাত'টি আড়তে অভিযান চালানো হয়।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, আলুতে রং মেশানো নিষিদ্ধ। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জামালপুর মেমারি-সহ বিভিন্ন এলাকায় গোপনে আলুতে রং লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছিল। তা খতিয়ে দেখতে অতর্কিতে অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি আলুর বেআইনি মজুদ রুখতেও অভিযান চালানো হয়েছে। বাজারে আলুর কৃত্রিম অভাব তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ, একইরকমভাবে আলুর পাশাপাশি আড়তদাররা পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে। কয়েকদিন আগেও কুড়ি টাকা কেজি দরে জেলার খুচরো বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। সেই পেঁয়াজ কোথাও কোথাও এখন পঁয়ত্রিশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অবিলম্বে আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক তৎপরতার দাবি জানিয়েছেন তারা। পুজো এগিয়ে আসার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আলু পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের।
Saradindu Ghosh