#বর্ধমান: বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নিষ্ঠার সঙ্গে মহাষ্টমীর পূজা দিলেন ভক্তরা। এদিন সকাল থেকে দর্শনার্থীরা মন্দিরে ভিড় করেন। পুজোর ডালি হাতে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে একে একে পূজা দেন ভক্তরা। দর্শনার্থীদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যাই বেশি ছিল। প্রতিপদে ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সূচনা হয়েছে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। নবমী পর্যন্ত নবরাত্রির বিশেষ পুজোপাঠ চলছে এই মন্দিরে।
পুজোর চারদিন মানেই ঘুরে ঘুরে মন্ডপ প্রতিমা দর্শন। তবে পুজোর সময় সর্বমঙ্গলা মন্দির সময় কাটান অনেকেই। পুজোর ডালি নিয়ে ভোর থেকে লাইন অপেক্ষা করেন দর্শনার্থীরা। পুজো, অঞ্জলি দিয়ে, মন্দির প্রদক্ষিণ,ভোগ গ্রহণ করে তবেই বাড়ি ফেরেন ভক্তরা। সন্ধি পূজার সময় মন্দিরে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। তবে এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। করোনা আবহে এবার মন্দিরের সেই চেনা ভিড়টাই নেই। অনেক ভক্ত মন্দির এসেছেন ঠিকই, তবে চিরাচরিত সেই ভিড় উধাও। বাইরে বেরোলেই করোনা সংক্রমনের আশংকা।তাই এবারের মতো মন্দিরে আসেননি বয়স্কদের অনেকেই। ট্রেন চলাচল করছে না।বাস চলাচল অনিয়মিত। তাই ইচ্ছা থাকলেও এবার সর্বমঙ্গলা মন্দির আসতে পারেননি দূরের ভক্তরা।
মা সর্বমঙ্গলাকে বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বলা হয়। রাঢ়বঙ্গের দেবী মা সর্বমঙ্গলা। তাই তাঁর আর এক নাম রাঢ়েশ্বরী। অবিভক্ত বাংলার প্রথম নবরত্ন মন্দিরে অবস্থান মায়ের। স্বপ্নাদেশ পেয়ে বর্ধমানের মহারাজা এই মন্দিরে মায়ের পাথরের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। রাজা দুটি গ্রামের পুরোহিতদের মন্দিরে পুজোর দায়িত্ব দেন। তাঁরাই বংশ-পরম্পরায় মন্দিরে নিত্য পূজা করে আসছেন। সর্বমঙ্গলা দেবীমূর্তি কষ্টিপাথরের। অষ্টাদশভূজা। দেবী সিংহবাহিনী। মহিষ মর্দিনী। মহালক্ষী রুপিনী।
মন্দিরে নিত্য পূজা হয়। মাকে পঞ্চ ব্যঞ্জন সহকারে পুষ্পান্ন ও পরমান্ন নিবেদন করা হয়। মাছের টক মায়ের চাই ই চাই। প্রতিদিন ভোগ গ্রহণ করেন অগণিত ভক্ত। তবে এখন করোনা আবহে ভক্তদের মধ্যে ভোগ বিতরণ বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভোগ বিতরণ শুরু হবে বলে জানিয়েেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।