#চন্দ্রকোনাঃ করোনা আতঙ্কের মাঝে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা । দু'য়ের দাপটে দিশেহারা তরমুজ চাষিরা । এ'বছর অতিবৃষ্টির ফলে নষ্ট হয়েছে গাছ, কমেছে ফলন। অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের ফলে গোটা রাজ্যে লকডাউন, বিক্রি-বাটায় টান এসেছে বৈকী! মরা বাজারে খদ্দের টানতে জিনিসের দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছেন দোকানিরা! অন্য বছরের তুলনায় এ'বছর দাম কমেছে তরমুজেরও । অথচ, খরচ রয়েছে একই । তাই দুশ্চিন্তায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ ও ২ নম্বর ব্লকের তরমুজ চাষিরা ।
চন্দ্রকোনার কালাকড়ি, মানিককুণ্ডু, জাড়া, বড় আকনা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার চাষীরা আলুর পরেই তরমুজ চাষ করেন । অর্থকারী ফসল হিসাবে এই এলাকার মানুষ তরমুজ চাষকে বেছে নিয়েছেন, আর সেই তরমুজ চাষে বিঘে পিছু ১০ হাজার টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষিরা । চাষিদের দাবি, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশি বৃষ্টি হওয়ায় ফলন কমেছে তরমুজের । তারউপর বর্তমানে লকদাউন চলায় গোডাউনের বাইরে যাচ্ছে না তরমুজ । তাই তরমুজের দামও কম । ফলে মাঠের তরমুজ মাঠেই পড়ে নষ্ট হচ্ছে। কীভাবে ঋণ শোধ করবে চাষিরা, বুঝে উঠতে পারছেন না ।
চাষিরা জানিয়েছেন, গ্রীষ্মের সময় এই ফসল চাষ করা হয়, এই চাষে খরচ ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা। সেই তরমুজ বিক্রি করে ঘরে আসছে বিঘে প্রতি ৫ হাজার টাকা, অন্যদিকে, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ফসল ভাল হয়নি । অন্যান্য বছর বিক্রি হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা কুইন্টাল হিসাবে! সেখানে এই বছর তরমুজের দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কুইন্টাল । লকডাউনের জন্য বাইরের জেলা থেকে আসছেন না ক্রেতারা, এতেই দুশ্চিন্তায় চন্দ্রকোনার তরমুজ চাষিরা ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Lockdown, Watermelon, Weather