#কালনা: একেবারে গরু খোঁজা যাকে বলে তাই। আক্ষরিক অর্থেই গরু খোঁজা। রীতিমতো দিন রাত এক করে সেই কাজ চালালেন স্হানীয় বাসিন্দারা। তাতেও বিশেষ সুবিধা না হওয়ায় তাদের সঙ্গে সেই তল্লাশিতে যোগ দিল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। অবশেষে খোঁজ মিলল। নৌকোয় চাপিয়ে নিয়ে আসা হল গরুদের। দিনের শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন গ্রামবাসীরা। কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?
পূর্ব বর্ধমানের কালনার কোম্পানিডাঙা। পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভাগীরথী। সেই নদীর চরে গরু চড়াতে যান অনেকেই। গরু, মোষ নিয়ে বেলাবেলি বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। ফিরতে প্রায় সন্ধে হয়ে যায়। কিন্তু সোমবার ফেরার পথে ঘটনা বিপত্তি। হঠাৎই বাড়তে শুরু করে ভাগীরথীর জল। সেই সঙ্গে স্রোতে ভেসে আসে পানা। দিগন্ত বিস্তৃত পানায় ভরে যায় চারপাশ। যেদিকে তাকানো যায় শুধুই রাশি রাশি পানা। তাতেই পথ হারিয়ে ফেলেন অনেকে। কোনওমতে গরু মোষ নিয়ে পাড়ে ওঠেন সকলে। কিন্তু তখনই নজরে আসে দুটো গোরু ও দুটো মোষ নেই। অর্থাৎ তারা আটকে রয়েছে চরে। কিংবা হয়তো পথ ভুলে পানার মাঝে জলের মধ্যেই মুখ তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরপরই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি।
প্রথমে জোরালো আলোর টর্চ জ্বালিয়ে শুরু হয় খোঁজ। তাতেও বিশেষ সুবিধা হয়নি। ততক্ষণে গ্রামবাসীরা নামিয়ে ফেলেছে নৌকো। পানা চিরে ধীর গতিতে রাতভর নৌকো ঠেলাই সার, দেখা মেলেনি অবলা প্রাণীদের।
খবর পৌঁছয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে। বেলা হতেই গ্রামবাসীদের সহযোগিতার জন্য পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নামানো হয় স্পিড বোট। বেশ কিছু এলাকা চষে ফেলার পর দেখা মেলে গোরু মোষগুলির। খবর পেয়ে সেখানে নৌকো নিয়ে পৌঁছন গ্রামবাসীরা। চারটি গরু এবং মোষকে সেই নৌকোয় তুলে বিজয়ীর হাসি হেসে গ্রামে ফেরেন তাঁরা। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তাঁরা।
কোম্পানিডাঙার বাসিন্দারা জানালেন, প্রতিদিন চরে অন্তত সত্তর আশিটা গরু মোষ নিয়ে যাওয়া হয়। গোপালন করেই সংসার চলে। এখন একটা উন্নত প্রজাতির গরু মোষের অনেক দাম। ভালয় ভালয় সেগুলিকে উদ্ধার করা সম্ভব হওয়ায় খুশি সকলেই।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।