হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
পুজো করার সিদ্ধান্ত উদ্যোক্তাদের, হাসি ফুটছে প্রতিমা শিল্পীদের মুখে

পুজো করার সিদ্ধান্ত উদ্যোক্তাদের, হাসি ফুটছে প্রতিমা শিল্পীদের মুখে

পুজোর উদ্যোক্তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে পুজো করার পক্ষেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এবারের পুজো বিশেষ ধুমধামের সঙ্গে যে হবে না সে ব্যাপারে একমত সকলেই।

  • Last Updated :
  • Share this:

#বর্ধমান: পুজো হবে কি হবে না তা নিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে দোটানা ছিলই। এখনও যে সব বাধা-বিপত্তি কেটে গিয়েছে তা নয়। তবুও করোনা পরিস্থিতি সামলে নিয়ে তার মধ্যেই পুজো করার পক্ষেই বেশিরভাগ ছোট-বড় দুর্গাপুজৌ কমিটি। কম বাজেটে পুজো করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বর্ধমানের বেশিরভাগ পুজোর উদ্যোক্তা। প্রতিমার বায়না দিতে কুমোরপাড়ায় যাচ্ছেন তাঁরা। হাসি ফুটছে প্রতিমা শিল্পীদের মুখে।

করোনা সংক্রমণ রুখতে গত ছ’মাস ধরে কখনও একটানা, কখনও দফায় দফায় লকডাউনের সম্মুখীন  হয়েছেন বাসিন্দারা। তার ওপর ছিল স্থানীয় প্রশাসনের নানান বিধি-নিষেধ। সেই সঙ্গে করোনা নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকতে হয়েছে বাসিন্দাদের। সেই পরিস্থিতিতে দুর্গা পুজোর আয়োজন কিভাবে সম্ভব তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না অনেকেই। কিন্তু এখন সেই করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানে মানিয়ে নিতে পেরেছেন অনেকেই। বাজারে আবার সেই চেনা ভিড় ফিরে এসেছে। মুখে মাস্ক পরে প্রয়োজনের সব কাজই সাড়ছেন বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন,সবই যখন করা যাচ্ছে তখন দুর্গাপুজো বাদ থাকে কেন। পুজোর উদ্যোক্তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে পুজো করার পক্ষেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এবারের পুজো বিশেষ ধুমধামের সঙ্গে যে হবে না সে ব্যাপারে একমত সকলেই।

বিগ বাজেটের পাশাপাশি বর্ধমান শহরে পাড়ায় পাড়ায় কম বাজেটের অনেক পুজো হয়। এইসব পুজোর উদ্যোক্তারা বলছেন,সাধারন মন্ডপ, একচালা প্রতিমা, আলো, ঢাকা নিয়ে পুজো হবে আগের মতোই। এবার আর আগের মত ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখতে যাবেন না অনেকেই। পার্থক্য শুধু এটুকুই। পাড়ার মণ্ডপে আড্ডা, অঞ্জলি সবই হবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। অনেকেই সেপ্টেম্বর মাস শুরু হতেই প্রতিমা অর্ডার দেওয়ার কাজ সেরে ফেলছেন। প্রতিমার বায়না আসার সঙ্গে সঙ্গে কাজে ব্যস্ততা বাড়ছে কুমোরপাড়ায়।

প্রতিমা শিল্পীরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে পুজোর বরাত কেমন মিলবে তা নিয়ে চিন্তা ছিল। তবে সে চিন্তা এখন অনেকটাই কেটেছে। অনেকেই প্রতিমার বায়না করে যাচ্ছেন। তবে সবাই এবার তুলনামূলক ছোট প্রতিমা খুঁজছেন। দশ-বারো হাজার টাকার মধ্যে প্রতিমার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এবারের পরিস্থিতির জন্য এটুকু মানিয়ে নিতেই হচ্ছে।

Saradindu Ghosh

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Bardhaman, Durga Puja 2020 district-durga-puja-2020