#বীরভূম: বাজনা বাজিয়ে বিয়ে করতে হাজির বর। ছাদনাতলায় এক হল চারহাত। এতে বিশেষত্ব কিছু নেই। তবে যদি বলা হয় বিয়ের যোগসূত্র ফেসবুক, আর পাত্রী-পাত্রী দু'জনই মূক ও বধীর, সেই বিয়েতে অভিনবত্ব থাকে বইকি। বীরভূমের আহমেদপুরে ধুমধাম করে হল তুলসী ও শুভেন্দুর বিয়ে।
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে প্রতারণা, বিবাহ বিচ্ছেদের মতো খবর আকছাড়ই ঘটে। বিশ্বাস ভেঙে যাওয়ায় অনেকেই ভেঙে পড়েন হতাশায়। তবে খারাপের মধ্যেও ভাল কিছু থাকে। তেমনই এক ঘটনা ঘটল এরাজ্যে। বীরভূমের আহমেদপুরের ঈশ্বরপুরের সঙ্গে ছত্তিসগড়ের বিলাসপুর।
কয়েকশো কিলোমিটারের দূরত্ব ঘোচাল কি না ফেসবুক! মাস পাঁচেক আগে আহমেদপুরের বাসিন্দা তুলসী শর্মার সঙ্গে বিলাসপুরবাসী শুভেন্দু সাহার প্রথম আলাপ ফেসবুকে। দুজনই মূক ও বধীর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে অপরের সম্পর্ক গাঢ় হতে থাকে। এরপর হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের মাধ্যমে আরও কাছাকাছি আসা। সেখান থেকেই প্রেম।
তুলসী-শুভেন্দুর সম্পর্কের কথা জানতে পারে তাঁদের পরিবারও। দু'জনের ভালবাসার টান উপেক্ষা করা যায়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই বিয়ের কথা পাকা। এরপর সদলবলে বিয়ে করতে হাজির বর। সানাইয়ের সুরে সাত পাকে বাঁধা পড়ল তুলসী-শুভেন্দু। সন্তানদের এভাবে বিয়ে দিতে পেরে অভিবাকরাও খুশি।অভিশাপ নয়, ফেসবুক আশীর্বাদ। তাই সোশ্যাল মিডিয়াকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন তুলসী-শুভেন্দুর পরিবার ও আত্মীয়রাও।