#মালদহ: মালদহের হবিবপুরে দুঃসাহসিক ডাকাতি। প্রৌঢ় দম্পতির গলায় অস্ত্র ধরে চলল লুঠ। নগদ প্রায় নলক্ষ টাকা ও অন্তত ১০ ভরি সোনার গয়না।
মালদহের হবিবপুরের ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তিলাসন গ্রামের ঘটনা। চারজনের দুষ্কৃতি দল ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হানা দেয়। খুনের হুমকি দিয়ে চলে লুঠ।
দুষ্কৃতীদের মুখ মাস্ক ও কাপড়ে ঢাকা ছিল। লুঠের পর বাড়ির লোকজনকে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। বাড়িতে একাই ছিলেন দম্পতি। জমির ধান বিক্রির নগদ টাকা ছিল বাড়িতে।
আরও পড়ুন- দুঃস্থ শিশুদের শিক্ষাদানের উদ্যোগ স্থানীয়দের! পুলিশ কেন্দ্রের সামনেই কোচিং
জানা গিয়েছে, পেছন দিয়ে বাড়িতে ঢুকে এক দুষ্কৃতী সদর দরজা খুলে দেয়। এর পর ঘরের ভেতরে ঢোকে বাকি দুষ্কৃতীরা। মুখ ঢাকা থাকায় দুষ্কৃতীদের চিনতে পারেননি বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন মালদহের ডিএসপি (আইন শৃঙ্খলা) এবং হবিবপুর থানার আইসি।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে হবিবপুর থানার পুলিশ। বাড়িতে নগদ টাকা রয়েছে, রীতিমতো তথ্য নিয়ে দুষ্কৃতী হানা। ফলে এই লুঠপাটের সঙ্গে পরিচিত কারও যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।
মালদহের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম তিলাসন। সীমান্ত ঘেঁষা হলেও আপাত শান্ত এলাকা। এর আগে কখনও এমন ডাকাতির ঘটনা হয়েছে, তা মনে করে উঠতে পারছেন না স্থানীয়রা। স্বাভাবিকভাবেই গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
গৃহকর্তা অমল পান্ডে বলেন, রাতে বাড়িতে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎই একজন পিছনের এডবেস্টার দেওয়া ঘর টপকে ভেতরে ঢুকে পড়ে। ওই দুষ্কৃতি বাড়ির সদর দরজা খুলে দিতেই বাইরে থেকে ভেতরে ঢুকে পড়ে আরও কয়েকজন। ঘরের চারজন ঢুকে ছিল। প্রত্যেকের হাতেই ছিল ধারালো অস্ত্র। একজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। প্রাণ বাঁচাতে বিনা বাঁধায় ওদের হাতে সব কিছু তুলে দিতে হয়েছে।
গৃহকর্ত্রী বন্দনা পান্ডে বলেন, ওরা আমার স্বামীর গলায় ধারালো হাঁসুয়া ধরে ছিল। আমি আলমারির চাবি না দেওয়ায় ওরা নিজেরাই আলমারির লক ভেঙে ফেলে। সমস্ত টাকা, গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে যাওয়ায় রাতে জানালা দিয়ে চিৎকার করে আশপাশের লোকজন ডাকি। এখন ঘরে প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই।
আরও পড়ুন- জল থৈথৈ রেলের আন্ডারপাস, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে রেল লাইন পারাপার
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, রাতেই পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একদফা তদন্ত করেছেন। গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের সবরকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।