#বর্ধমান: প্রেমের সম্পর্ক বাড়ি থেকে মেনে না নেওয়ার জন্য কয়েকদিন আগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। সেই ঘটনার পর ওই মৃত ছাত্রীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছিল তার প্রেমিক। সেজন্য তাকে মারধর খেতে হয়। অনেক গঞ্জনা সহ্য করতে হয়। তার জন্যই ওই ছাত্রীকে আত্মঘাতী হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আত্মঘাতী হল সেই প্রেমিক যুবক।
পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার অন্তর্গত রায়পুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।মৃত যুবকের নাম অনিমেষ বাগ। প্রেমিকার মৃত্যুর পর মাসির বাড়ি সিঙি এলাকায় থাকছিলেন অনিমেষ।সেখানেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। অনিমেষের বাবার দাবি, প্রেমিকার পরিবারের চাপ সহ্য করতে না পেরে অবশেষে মাসির বাড়ি এলাকাতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় অনিমেষ। ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নাদনঘাট থানার অন্তর্গত চাঁদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আজ কালনা মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
অভিযোগ, তাঁদের মেয়ের মৃত্যুর জন্য ওই যুবককে দায়ী করে তাঁর পরিবারের ওপর নানান চাপ সৃষ্টি করছিল আত্মঘাতী স্কুল ছাত্রীর বাড়ির লোকজন। পাশাপাশি এই ঘটনার জন্য ওই যুবককে দায়ি করে মারধরও করা হয়। সে সব চাপ সহ্য করতে না পেরে মাসির বাড়িতে গলায় দড়িতে আত্মঘাতী হলেন অনিমেষ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
মৃতের পরিবারের লোকেদের দাবি, তাদের ছেলের সাথে ওই একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মেয়েটির পরিবার এই সম্পর্ক মেনে না নিতে পেরে মেয়েটির ওপর অত্যাচার করতে থাকে। সেই অত্যাচারের জেরেই মেয়েটি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়। অথচ ওই ছাত্রীর পরিবার আত্মহত্যার জন্য ওই যুবককে দায়ী করে নানান রকম হুমকি দিচ্ছিল। সেই চাপ সহ্য না করতে পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল এই যুবক।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Suicide