#পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যের একমাত্র আসন নন্দীগ্রাম। যেখানে প্রার্থী ঘোষণা করে ফেলল তৃণমূল। মমতা বন্দোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে নিজে ভোটে লড়তে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, না হারাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।
এই রাজনৈতিক লড়াইয়ের মাঠে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামের সভার জবাব আজ দেবেন নন্দীগ্রামের সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার আগেই অবশ্য ট্যুইট করে শুভেন্দু জানিয়েছেন, "স্বাগতম দিদি। ২১ বছর সঙ্গে ছিলাম। এবার নন্দীগ্রামে সামনা সামনি দেখা হবে।" শুভেন্দুর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের দাবি ভোটের লড়াই এবার দাদা বনাম দিদি'র মধ্যেই। আজ খেজুরির হেঁড়িয়ার মাঠে সভা করবেন শুভেন্দু।
গতকাল প্রায় লাখো মানুষের সমাবেশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য জানাচ্ছেন আজ লাখো মানুষের সমাবেশ করে তারা দেখিয়ে দেবেন। যত ভাঙবে, তত বাড়বে। ভোটের ব্যবধান এতে বাড়বে, এমনটাই মত বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করছেন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ শিবির। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী নিজেই।
তিনি জানান, "নন্দীগ্রামে যা হচ্ছে, প্রত্যেকেই তা আপনাদের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন। কে কে করছে? কতজন করছে? কোন গোষ্ঠী করছে এইসব সবটাই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। তবে এটায় আমি খুশি৷ যত এই সব করবে তত আমার ভোট বাড়বে। গত বিধানসভা ভোটে জিতেছিলাম ৮২ হাজার ভোটে, এবার ভোটে আরও বেশি ভোট পেয়ে জিতব।"
প্রসঙ্গত গত ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে তার নেতৃত্বে একটি সভা হয়। সেই সভায় গোলমালের অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পর লাগাতার গত দু'দিন ধরে নন্দীগ্রামে তার অফিস ভাঙচুর, সদস্যদের বাইক জ্বালানো হয়েছে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই নন্দীগ্রাম নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য তার লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছেন। জঙ্গলমহলের নানা জেলায় তৃণমূলে থাকাকালীন দীর্ঘদিন ধরে সংগঠন সামলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই শুভেন্দুর হাত থেকে চলে যায় সেই দায়িত্ব। শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ শিবিরের বক্তব্য ছিল, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে জেলার দায়িত্ব দিয়ে তৃণমূলের সেই সংগঠন নষ্ট হয়ে যায়।
তবে এমন অভিযোগ মানতে রাজি নয় তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দল তা মানতে রাজি না হলেও জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া জেলায় শুভেন্দু অধিকারী নিজের সংগঠনকে আরও সক্রিয় করে তুলতে চাইছেন। সেই কারণেই তিনি জানিয়েছেন, "এখন থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রতি জেলায় আমি প্রতি ১৫দিন অন্তর আসব। এখানকার রাস্তা, গ্রাম, মানুষ সকলের চেনা। তাদের কাছে আরও একবার আমি পৌছে যাব।" অবিভক্ত মেদিনীপুর আগেই টার্গেট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি চাইছে শুভেন্দুর হাতের তালুর মতো চেনা জেলাগুলিতে তাকে আরও বেশি করে সক্রিয় করতে। সে কারণেই জঙ্গলমহলের জেলায় এবার জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে চাইছেন শুভেন্দু।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BJP, Subhendu Adhikari