#বর্ধমান্: কাজ নেই।উপার্জন বন্ধ। ঘরে খাদ্য সামগ্রী নেই। রেশন কার্ড আছে। তবু রেশন মিলছে না। তাই রেশনের জন্য প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন বর্ধমানের পাঞ্জাবি পাড়ার চন্দ্রা সাউ। ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, আমরা কি খাবো না? আমরা কি লক ডাউন মানছি না!
দেড় বছর আগে রেশন কার্ড হাতে পেয়েছেন। তবু রেশন মিলছে না। খাদ্য দফতরে নাকি এন্ট্রি হয়নি সেই কার্ড। রেশন ডিলার বলছেন, নাম নেই তালিকায়। লিখিয়ে আনুন। লক ডাউনে তাই বাড়িতে বসে থাকা সম্ভব হয়নি চন্দ্রাদেবীদের। রোদ মাথায় নিয়ে রেশন ডিলার, ডিএম অফিস, এস ডিও অফিস, পুরসভা, খাদ্য দফতরে ভিড় করছেন তারা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশংকা রয়েছে। কিন্তু পেটের ক্ষিধের কাছে তা যেন নিমিত্ত মাত্র। চন্দ্রাদেবী তাই বলছেন, রেশন কার্ড থাকলে একজন যদি বিনা মূল্যে খাবার পায়, তাহলে আমরা পাব না কেন? আমরা কি লক ডাউন মানছি না? এই রকম হচ্ছে কেন আমাদের সঙ্গে। চন্দ্রা সাউয়ের মতো অনেকেই লক ডাউন মানতে পারছেন না। ঘরে ভুখা পেট। শুকনো মুখে বসে শিশুরা। প্রশাসন জানিয়েছিল, আবেদন করেছিলেন অথচ কার্ড পাননি তাঁরাও রেশন পাবেন। বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে অনেকেই প্রতিদিন সমস্যা সমাধানে এ অফিস সে অফিসে ঘূরছেন। বর্ধমানে জেলা খাদ্য দফতরেও ভিড় করছেন অনেকে।
অনেকেই এক দেড় বছর আগে রেশন কার্ড হাতে পেয়েছেন। অথচ খাতায় নাম না ওঠায় রেশন পাচ্ছেন না তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, এন্ট্রি ছাড়াই কার্ড তৈরি ও বিলি হল কিভাবে। এক দেড় বছর পরও রেশন মিলছে না কার দোষে? তাদের চিহ্নিত করে এক বছরের বকেয়া রেশন মিটিয়ে দেবে প্রশাসন?
মহকুমা খাদ্য আধিকারিক বলেন, কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছে। যাদের কার্ড নেই অথচ আবেদন করেছিলেন তারা শহরের ক্ষেত্রে পুরসভা থেকে রেশনের কুপন পাবেন। গ্রামীন এলাকায় বিডিও অফিস থেকে সেই কুপন মিলবে। সেই কুপনে তোলা যাবে রেশন। ইতিমধ্যেই পুরসভা ও বিডিও অফিসগুলিতে কুপন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona, Coronavirus, COVID-19, Home Lockdown, Lock Down, Stay Home