#বর্ধমান: লক ডাউনে শুনশান বর্ধমানের ডাক্তার পাড়া। বেশিরভাগ ডাক্তারই চেম্বারে বসছেন না। বাস ট্রেন বা অন্যান্য যান বাহন না চলায় আসতে পারছেন না রোগীরাও। নিরুপায় হয়ে অ্যাম্বুলান্সে, মোটর সাইকেলে রোগী নিয়ে আসছেন কেউ কেউ। ডাক্তারের দেখা না পেয়ে হয়রানি হতে হচ্ছে তাদের। অনেকেই বলছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গৃহবন্দি থাকাই যায়। কিন্তু অন্য রোগ তো হচ্ছেই। তখন ডাক্তার না পেয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পরিবারকে। বর্ধমানের ডাক্তার পাড়ার ওপর শুধু বর্ধমান জেলা বা পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দারা নন, আশপাশের হুগলি, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়খণ্ডের বহু বাসিন্দা নির্ভরশীল। দূর দূরান্ত থেকে খোসবাগানে রোগী নিয়ে এসে ডাক্তারের চেম্বার বন্ধ দেখে ফিরতে হচ্ছে অনেককেই।
বর্ধমান শহরের খোসবাগান। ডাক্তার পাড়া নামেই পরিচিত। রাস্তার দু পাশে অলিতে গলিতে ডাক্তারের চেম্বার। এক জায়গায় এতো ডাক্তার নাকি বিশ্বে আর কোথাও নেই। লক ডাউনের জেরে এখন শুনশান সেই ডাক্তার পাড়া। লক ডাউন ঘোষণার শুরুতে বর্ধমানের চিকিৎসকদের বৈঠকে ডেকেছিল জেলা প্রশাসন। জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সেই বৈঠকে এক সঙ্গে যাতে অনেক রোগী চেম্বারে ভিড় না করেন তা নিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লক ডাউনের কারণে অনেক ডাক্তারই বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন না। ভিড় এড়াতে চেম্বার বন্ধ রেখেছেন অনেকে। বাকিরা ভিড় এড়াতে চেম্বারের বাইরে রোগী দেখছেন। নার্সিংহোমেও অনেক ডাক্তার দু বারের বদলে একবার করে রাউন্ড দিচ্ছেন। এই সময়ে অসুস্থদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পরিবার পরিজনরা। তারা বলছেন, অনেকের বাড়িতেই সঙ্কটাপন্ন রোগী রয়েছেন। তাদের একটা সময় অন্তর ডাক্তার দেখানো জরুরি। অনেকের গল ব্লাডারে স্টোন সহ জরুরি অপারেশন প্রয়োজন। তাঁরা চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন। অনেক নার্সিংহোমই ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীর অভাবে রোগী ভর্তি নিতে চাইছেন না।
Saradindu Ghoshনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Coronavirus, COVID-19, Khosbagan