হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
বর্ধমানে ফের আক্রান্ত ১৮! পুজোর বাজারের ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ

বর্ধমানে ফের একদিনে আক্রান্ত ১৮! পুজোর বাজারের ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ 

প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১৯-২০ জন করে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলতে থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে

  • Last Updated :
  • Share this:

#বর্ধমান: বর্ধমান শহরে ফের একদিনে ১৮ জন করোনা আক্রান্ত হলেন। প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১৯-২০ জন করে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলতে থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে। বাজারের ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ বাড়ায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দোকান বাজার অফিস আদালত খোলা।বাজার এলাকায় ভিড় বাড়ছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। অনেকেই এখনও মাস্ক বা ফেস কভারে মুখ ঢাকছেন না। এসবের কারণে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় এদিন পর্যন্ত ৫৩৮১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৭২৬ জন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮০ জন। তাঁরা করোনা হাসপাতাল, সেফ হোম ও হোম আইসোলেশন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় এই জেলায় নতুন করে ৮২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।তাদের মধ্যে সত্তর জনেরই কোনও উপসর্গ নেই।বারো জনকে বর্ধমানের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগের মধ্যেই কোনও উপসর্গ পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ পরীক্ষার পর তারা করোনা পজিটিভ রিপোর্ট মিলছে। এখনও অনেকেই নিজেদের অজান্তেই করোনা আক্রান্ত রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে অন্যান্যদের দেহে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। তাই সাবধানতা হিসেবে যথাসম্ভব বাড়িতে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু অনেকেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়াই বাইরে বের হচ্ছেন। পুজোর বাজার করছেন।মাস্ক ব্যবহার করছেন না। এর ফলে তারা এবং তাদের মাধ্যমে পরিবারের অন্যান্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

বর্ধমান ছাড়াও দাঁইহাট পৌরসভা এলাকায় ৪ জন, গুসকরা পৌরসভা এলাকায় ২ জন, কালনা পৌরসভা এলাকায় ১৩ জন ও কাটোয়া পৌরসভা এলাকায় ৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বাকিরা সকলেই জেলার গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা। তার মধ্যে কালনা এক নম্বর ব্লকে ৮ জন করোনা আক্রান্তত হয়েছেন। কালনা দু'নম্বর ব্লকে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন। মন্তেশ্বর ব্লকেও ৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

Published by:Ananya Chakraborty
First published:

Tags: Bardhaman, Coronavirus, COVID-19