#বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেল। প্রতিদিনই বিভিন্ন ব্লক থেকে করোনা আক্রান্তের খবর আসছে। করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলায় উদ্বিগ্ন জেলার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই বর্ধমান ও মেমারি শহরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন। অন্যান্য বাজার এলাকাগুলিতেও যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে সে ব্যাপারে পুলিশকে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে জেলা জুড়ে পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। প্রতি ব্লকে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় এ দিন পর্যন্ত ১,৫৭৫ জন পুরুষ মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক হাজার একশো ষোল জন ইতিমধ্যেই চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে চারশো পঁচিশ জন করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিন পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্ত হয় চৌত্রিশ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় এই জেলায় নতুন করে সাতাত্তর জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
বর্ধমান জেলায় নতুন করে আক্রান্ত সাতাত্তর জনের মধ্যে আঠাশ জন শহর এলাকার বাসিন্দা। তার মধ্যে শুধু জেলার সদর শহর বর্ধমানেই আক্রান্ত হয়েছেন চব্বিশ জন। এছাড়া মেমারি শহরে দুজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কালনা শহরে দুজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। বর্ধমানে একটানা লকডাউনের পরও করোনার সংক্রমণ কমেনি।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে আউশগ্রাম দু নম্বর ব্লকে রয়েছেন ন জন।এছাড়াও বর্ধমান এক নম্বর ব্লকে সাতজন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। মেমারি এক নম্বর ব্লকে নতুন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এগারো জন। খণ্ডঘোষ ব্লকে ফের করোনার সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এই ব্লকে নতুন করে একদিনে পাঁচজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গলসি দু'নম্বর ব্লকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন চারজন। বর্ধমান দু'নম্বর ব্লক ও কেতুগ্রাম এক নম্বর ব্লকে তিনজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মেমারি দু'নম্বর ব্লক ও পূর্বস্থলী দুই নম্বর ব্লকে দুজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া গলসি এক নম্বর ব্লক,মঙ্গলকোট ও ভাতার ব্লকে একজন করে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, East Bardhaman