#হাওড়া: দীর্ঘ লকডাউনের জেরে অনেক মানুষের মুখেই জুটছেনা খাদ্য, একই রকম ভাবে সমস্যায় রাস্তার কুকুরদেরও। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ নিয়ে মানুষের পশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন ও অনেক সংগঠনের মানুষজনেরা। অনেক প্রশুপ্রেমীরা রাস্তার কুকুরদের মুখে দুবেলায় তুলে দিচ্ছে খাবার, তবে বিভিন্ন এলাকায় খাওয়ার সরবরাহ করলেও হাওড়া হাসপাতালে বসবাসকারী কুকুরদের খাদ্য সংকট প্রকট হয়েছে।
হাওড়া হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর পর থেকেই হাপাতাল চত্বরে মানুষের যাতায়াত কমেছে, কমেছে রোগীর সংখ্যাও, এমনকি বন্ধ হয়েছে হাসপাতাল চত্বরের হোটেল ও খাওয়ার দোকান। যার জেরে বন্ধ হয়েছে কুকুরদের খাওরের যোগানও। খাওয়ার না পেয়েই এক কুকুরের শাবকের মৃত্যু হয় সোমবার দুপুরে। মৃত্যুর পর সেই কুকুর ছানার দেহ ছিঁড়ে খাচ্ছিল কাকেদের দল। আসলে কাকেরাও যথেষ্ট অভুক্ত, সেই অভুক্ত মায়েদের দল চেষ্টা করেছিল কুকুর ছানার দেহ থেকে মাংস সংগ্রহ করে তাদের সন্তানদের পেট ভরাতে। নিজের সন্তানের জন্য তখন মা কুকুর গিয়েছিল খাওয়ারের খোঁজে, নিরাশ হয়ে ফিরে সন্তানের মৃতদেহ ছিঁড়ে খেতে দেখে কাকাদের। তখনই কাকদের তাড়াতে দৌড়ে গেল মা কুকুর। কাকদের তাড়াতে পারলেও নিজের বাচ্চাকে আর জাগিয়ে তুলতে পাড়ল না।
অবশেষে অভুক্ত পেটেই ঘন্টার পর ঘন্টা বসে রইলো সন্তানের মৃতদেহের কাছে। মাঝে মাঝেই কাকেদের দলের দিকে তেড়ে যায়, আবার ফিরে এসে বসে থাকে সন্তানের মৃতদেহের পশে। হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ কিছু খাওয়ার মায়ের দিকে ছুড়ে দিলেও তা শুকেও দেখার সময় নেই সন্তান হারা মায়ের, কারণ খাওয়ার খেতে গেলেই সন্তানের দেহ ছিড়ে খাবে কাকের দল।
হাওড়া হাসপাতালের এক করুন দৃশ্য যেন অনেক কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে গেল সমাজকে। এরপর আরও লোকডাউনের দিন বাড়লে কত যে কুকুর ছানা আর কুকুরদের মৃত্যু হবে তা অবশ্যই সময় বলবে। মানুষ যত লোকডাউন ভেঙে বাইরে যাবে ততই বাড়বে রোগের প্রকোপ তার সাথে বাড়বে অনাহারের তালিকাটাও। নিজে সারাদিন না খেয়েও সন্তান দেহ আগলে বসে থাকার মায়ের দিকে ফিরে তাকাবে কি সমাজ। প্রশ্নগুলো সহজ তবে উত্তর খুব কঠিন।
Debasish Chakraborty
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19, Lockdown, Starvation