#বর্ধমান: খাদ্য সামগ্রীর সরবরাহ ঠিক আছে তো? জানতে চাইলে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল। লক ডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে বৈঠক করলেন জেলা পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে। সেখানেই এলাকার পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিতে গিয়ে কাদের এই প্রশ্ন করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র ?
ডিজি আসছেন। তাই সকাল থেকে সাজ সাজ রব পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ মহলে। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মেমারি থানায় পৌঁছন ডিজি। উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সহ পদস্থ সব পুলিশ আধিকারিকরা। ছিলেন আই জি, ডিআইজি রাও। মেমারি থানায় ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ খবর নেন ডিজি। জেলায় লক ডাউন মেনে বাসিন্দারা চলছেন কিনা জানতে চান। জেলা পুলিশ কোন কোন কাজকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন। বাসিন্দাদরা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন সে ব্যাপারে সর্বত্র প্রচার চালাতে পরামর্শ দেন ডিরেক্টর জেনারেল। সেই সঙ্গে সামাজিক পরিষেবার কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন। ইতিমধ্যেই জেলাজুড়ে বাজারে বাজারে জেলা পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা অভিযান চালাচ্ছেন, সেখানে বাসিন্দাদের দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে, প্রতিটি থানা দু বেলা ভবঘুরে, খাদ্য সংকটে থাকা বাসিন্দাদের খাবার দিচ্ছে।
স্হানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলেন ডিজি। চাল ডাল ওষুধ সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেতে অসুবিধা হচ্ছে কিনা জানতে চান। বর্ধমান বা কলকাতা থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী আনতে পুলিশ যথাযথভাবে সহযোগিতা করবে বলে তাঁদের আশ্বাস দেন ডিজি। প্রয়োজনে ই পাস দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। কথা বলেন স্হানীয় বিধায়ক ও মেমারির পুর প্রধানের সঙ্গেও।
ডি জি বীরেন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন, এই সময় কালোবাজারির একটা প্রবণতা থাকে। বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী মজুতেরও একটা তাগিদ থাকে। যদিও সে প্রবণতা অনেকটা কমেছে। তবু পুলিশকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। অনেকেই মাস্ক পরে রয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন এটা ভাল দিক।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Coronavirus, COVID-19, Lockdown