#বর্ধমান: এই করোনা আবহে ভবঘুরেদের নিয়ে চিন্তিত পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে তাঁদের অধিকাংশই সচেতন নন। তার ওপর শহরের রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে অপরিষ্কার জায়গায় রাত কাটাচ্ছেন তাঁরা। অনেকে স্টেশন চত্বরে, ফ্লাইওভারের নিচে শুয়ে থাকছেন অনেকেই। তাই তাঁরা সহজেই করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই আশঙ্কা থেকেই এই করোনা পরিস্থিতিতে ভবঘুরেদের জন্য আলাদা সেল্টার তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী জানান, 'প্রাথমিকভাবে মাটি তীর্থ কৃষি কথায় এই ভবঘুরেদের জন্য সেলটা তৈরির কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে এখন ভবঘুরেদের রাখার মতো পরিকাঠামো নেই। সেখানে পানীয় জল বা অন্যান্য অনেক কিছুরই অভাব রয়েছে'। প্রাথমিকভাবে বর্ধমান শহরে কত জন ভবঘুরে রয়েছেন তা বর্ধমান থানার পুলিশকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় প্রশাসন।
পুলিশ সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে, এই শহরে ভবঘুরে সংখ্যা 288 জন। তবে তাদের মধ্যে অনেকেই আশপাশ এলাকার বাসিন্দা।এই লকডাউন পরিস্থিতিতে দুস্থদের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নিয়মিত দুবেলা ভবঘুরেদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। সেই খাবারের টানে আশপাশ এলাকা থেকেও অনেকে এই শহরে চলে আসছেন। তাঁদের অনেকেরই স্থায়ী বাসস্থান রয়েছে।জেলাশাসক জানান, প্রকৃত ভবঘুরে যাদের আশপাশ এলাকায় থাকার কোন ব্যবস্থা নাই, শুধুমাত্র তাঁদের জন্যই সেল্টার তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ভবঘুরেদের আলাদা জায়গায় রেখে তাঁদের জন্য পোশাক, নিয়মিত দু বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। তাঁরা যাতে পরিচ্ছন্ন থাকেন তা দেখা হবে। স্যানিটাইজারে হাত ধুইয়ে দেওয়া হবে। এসব করা গেলে তাঁদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকবে। কবে নাগাদ ভবঘুরেদের সেল্টারে নিয়ে যাওয়া হবে তা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি জেলা প্রশাসন।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Coronavirus, COVID-19