#বর্ধমান: বিয়ে হয়েছিল মাত্র চার মাস আগে। সেই স্বামীকে মৃত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে গেল স্ত্রী সুহানা ! বর্ধমান উইমেন্স কলেজের শিক্ষক মহম্মদ আখতার হাসিনুর রহমানের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে তাই প্রশ্ন তুলছেন সকলেই। শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর মৃত্যুর খবর দিয়ে গা ঢাকা দেয় সুহানা। তার এই অস্বাভাবিক আচরণ সন্দেহ বাড়িয়ে তুলেছে। তবে কি কলেজ শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঙ্গে সুহানার কোনও যোগ রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বর্ধমান থানার পুলিশও।
বুধবার সকালে বর্ধমানের মেঘনাদপল্লী এলাকায় ভাড়া বাড়িতে কলেজ শিক্ষক মহম্মদ আখতার হাসিনুর রহমানের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে মৃত শিক্ষকের সহকর্মীরা সকলেই বলছেন, দুর্ঘটনায় স্বামী অচৈতন্য হয়ে পড়লে পাড়া-প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে তাঁকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা চালাবেন স্ত্রী সেটাই স্বাভাবিক ছিল। তা না করে শ্বশুরবাড়িতে ওই শিক্ষকের মৃত্যুর খবর দিয়ে তিনি চম্পট দেওয়াতেই সন্দেহের আঙুল তার দিকে উঠছে ঘটনার পর থেকে তার হদিশ মেলেনি। মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি মোবাইল ফোন সুইচড অফ করে দিয়েছেন নাকি এই ঘটনার পেছনে অন্য কিছু রয়েছে জানতে উদগ্রীব সকলেই।
স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি দাম্পত্য কলহ চরম আকার নিলে ভারি কিছু দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে ওই শিক্ষককে খুন করেন স্ত্রী সুহানা? নাকি এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? মৃত শিক্ষকের বাবা মুজিবর রহমানকে সুহানা ফোন করে জানিয়েছিলেন, বাথরুমে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই শিক্ষকের। তা হয়ে থাকলে তিনি পাড়া-প্রতিবেশীদের খবর না দিয়ে বা শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের আসার আগেই বাড়ি ছাড়লেন কেন সে প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। সেই সঙ্গে মৃত শিক্ষকের স্ত্রীর হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। তাকে পাওয়া গেলে জেরা করে ঠিক কি ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা চলবে। ইতিমধ্যেই মৃত শিক্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মৃত কলেজ শিক্ষকের স্ত্রীর হদিশ পেতে সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Saradindu Ghosh