হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
ধেয়ে আসছে আমফান ! ঘর ছাড়ছেন বাসিন্দারা 

ধেয়ে আসছে আমফান ! আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন বাসিন্দারা 

প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ঝড়ের আগে নদীর তীরের বাসিন্দাদের ও উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের সরে যেতে হবে। এই অবস্থায় বাসিন্দারা বুঝে উঠতে পারছেন না সামাজিক দুরত্ব মেনে তারা শেল্টারে থাকবেন নাকি গা ঘেঁষে থাকবেন একে ওপরের।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কাকদ্বীপ: আগে আমফান নাকি আগে করোনা। এই দুইয়ের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত কাকদ্বীপ, নামখানা-সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দারা। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ঝড়ের আগে নদীর তীরের বাসিন্দাদের ও উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের সরে যেতে হবে। এই অবস্থায় বাসিন্দারা বুঝে উঠতে পারছেন না সামাজিক দুরত্ব মেনে তারা শেল্টারে থাকবেন নাকি গা ঘেঁষে থাকবেন একে ওপরের। এরই মাঝে কাঁচা বাড়ি ছেড়ে আত্মীয় বা পরিচিত বাড়ি যেতে শুরু করেছেন স্থানীয়দের অনেকেই।

সুষমা মন্ডল, থাকেন নামখানায়। ছয় মাস আগের বুলবুল ঝড়ের স্মৃতি এখনও মন থেকে মুছে যায়নি। এরই মধ্যে আমফান চোখ রাঙাতে শুরু করে দিয়েছে। ফলে সকাল হতেই ব্যাগ গুছিয়ে। প্রয়োজনীয় জিনিষ ব্যাগে পুরে নিয়ে আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে নামখানার উঁচু জায়গায় সরে যাচ্ছেন। সুষমা দেবী জানান, "ছয় মাস আগের বুলবুল ঝড়ে আমাদের যা ক্ষতি হয়েছে সেটাই এখনও সামলে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে আবার একটা ঝড় আসছে। নদীর ধারে থাকি। ঝড়ে ছোট বাচ্চা নিয়ে কোথায় থাকব। তাই তো আত্মীয় বাড়ি চলে যাচ্ছি। আগে প্রাণে বেঁচে যাই পরে বাকিটা বুঝব।"

সুষমার মতো চার বছরের মেয়েকে নিয়ে ঘর ছেড়েছেন জয়ন্তী মন্ডল। তিনিও জানান, "নদীর পাড়ে থাকি। যে ঝড় আসছে তাতে সবার আগে আমাদের বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আগে ভাগেই বাড়ি ছেড়ে দিদির বাড়ি চলে যাচ্ছি।" তবে সবাই যে আত্মীয় বা পরিচিত বাড়ি যাচ্ছেন এমনটা নয়। যেমন নামখানার বাসিন্দা মালবিকা চক্রবর্তী। এই সময়ে লড়াই চালাতে প্রস্তুত তিনি। তিনি বলেন, " এখন ঝড় আগে করোনা পরে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে তো আমি একটা লোককে হয়তো ঘরে থাকতে দিতে পারব না। তার চেয়ে ভালো হল মাস্ক পড়ে, সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে থাকা। তাতে মানুষ এই ঝড়ের কবল থেকে বাঁচতে পারবেন।" ঝড় আর করোনার এই সহাবস্থানের মাঝেই খেই হারিয়েছেন মানুষজন।প্রশাসন অবশ্য সকাল থেকেই তৎপর আমফান মোকাবিলায়। ঘন ঘন বৈঠক করছেন সবাইকে সাথে নিয়ে। উপকূল এলাকায় চলছে মাইকিং। নদীর ধারে থাকা গ্রামগুলি থেকে সরানো হয়েছে বাসিন্দাদের।

Abir Ghoshal

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Amphan, Cyclone Amphan