#বর্ধমান: বড়দিন থেকেই ইংরেজি নববর্ষের কাউন্টডাউন শুরু। শীতের আমেজ সঙ্গী করে শুরু উৎসবের। এ উৎসব শীত যাপনের। বড়দিনে পিকনিকে মাতলেন বর্ধমানের বাসিন্দারা। শীতের দাপট একটু কম। তাতে কুছ পরোয়া নেই। বর্ধমানের সদরঘাটে দামোদরের তীরে সকাল থেকেই ভিড় করেছেন চড়ুইভাতি করতে আসা বাসিন্দারা। বেলা যত বেড়েছে ততোই ভিড় বেড়েছে এখানে। খাওয়া দাওয়া খেলাধুলা গল্পে আড্ডায় হই হুল্লোড়ে দিন কাটালেন অনেকেই।
সোনা রঙের বালি। কুলু কুলু বইছে দামোদর। স্বচ্ছ। শীতল। তার পারে সবুজ আলু জমি। সরষের ক্ষেত। একদিকে চললো রান্নাবান্না, অন্যদিকে দামোদরের জলে পা ডুবানোর মজা নিলেন প্রকৃতি প্রেমিকরা। নাচে গানে হুল্লোড়ে উৎসবের পরিবেশ বর্ধমানের সদর ঘাট জুড়ে। ছোটরা মেতে উঠেছে ব্যাডমিন্টন,ক্রিকেট খেলায়। ঘুড়িও ওড়াচ্ছে কেউ কেউ। সব মিলিয়ে ঘরের বাইরে সারাদিন বড়দিনের মজা নিলেন অনেকেই।
বর্ধমানের জনপ্রিয় পিকনিক স্পটগুলোর মধ্যে অন্যতম সদরঘাট। কৃষক সেতুর পাশে চওড়া দামোদরের সৌন্দর্যের টানে এই শীত মরশুমে ভিড় করেন অনেকেই। করোনা পরিস্থিতির কারণে মাসের পর মাস ঘরের বাইরে সেভাবে বেরোনো হয়নি অনেকেরই। করোনা সংক্রমণ অনেকটা কমতেই এবার বাসিন্দারা এদিন চড়ুইভাতিতে বেরিয়েছেন। সবুজ আলুক্ষেত, হলুদ ফুল ফুটে থাকা সরষে ক্ষেতের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া চড়ুইভাতির আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে।
এ'দিন বর্ধমানের লাকুড্ডি জল কল মাঠেও চড়ুইভাতি করতে আসা বাসিন্দাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি ইদিলপুর বাংলো বা পাল্লা রোড সেচ বাংলোয় চড়ুইভাতি করতে এসেছেন অনেকেই। ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে আউশগ্রামের ভালকি মাচানে। এখানের শাল পিয়ালের জঙ্গলে বনভোজনের মজা উপভোগ করছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাসিন্দারা। সব মিলিয়ে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নাচ, শীতের মিষ্টি রোদ পিঠে নিয়ে পছন্দের খাবারে রসনা পরিতৃপ্ত করার মধ্য দিয়ে বড়দিন পালন করছেন অনেকেই।কালনায় ভাগীরথীর তীরে এবং কাটোয়া মহাকুমার ভাগীরথী ও অজয়ের তীরে বিভিন্ন পিকনিক স্পটগুলিতেও ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা গিয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan