#বর্ধমান: মনসা পুজো দেখতে ঘরের বাইরে গিয়েছিল ৯ বছরের কিশোর। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেজে ওঠে ওই কিশোরের বাবার মোবাইল ফোন। জানানো হয়, অপহরণ করা হয়েছে ওই নাবালককে। মুক্তিপণ হিসেবে মোটা টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। পূর্ব বর্ধমানের গলসির এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অপহৃত কিশোরের বাবা পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ায় এই ঘটনা আলাদা মাত্রা পেয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার সাঁকো গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঁকো গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যের নয় বছরের নাবালক পুত্রকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধে নাগাদ গ্রামের মনসা পুজো দেখতে বাড়ি থেকে বের হয় সে । তারপর আটটা নাগাদ তার বাবার মোবাইলে মুক্তিপন চেয়ে ফোন আসে। একবার নয়, বেশ কয়েকবারই ফোন আসে। প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এরপর আবার ফোন করে তিন লাখ টাকা চাওয়া হয়। টাকা না দিলে বা পুলিশের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করা হলে ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন করোনাযুদ্ধে জয়ী, এবার অন্যদের বাঁচাতে প্লাজমা দান 'গরীরের ডাক্তার' ফুয়াদ হালিমের
ওই ফোন আসার পরই গোটা গ্রাম খোঁজা শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানো হলেও গ্রামে কোথাও ছেলের হদিশ মেলেনি। ছেলের খোঁজ না পেয়ে ভেঙে পড়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ওই কিশোরের কোনও খোঁজ মেলেনি। এদিকে পঞ্চায়েত সদস্যের এত টাকা ব্যবস্থা করার সঙ্গতিও নেই। তাঁর ছেলেকে কেন মুক্তিপণ পেতে অপহরণ করা হল বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্ব টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানান, ওই কিশোরের হদিশ পেতে সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কারা এই কাজ করেছে তা জানার চেষ্টা চলছে। কিছু সূত্র মিলেওছে। তদন্তের স্বার্থে এখন এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।