#চন্দননগর: আর চিন নয়। এবার দেশীয় কাঁচামালেই আলো সাজাবে চন্দননগর। খরচ বাড়লেও ক্ষতি নেই। আলোক শিল্পীদের দাবি, সার্কিট-সহ যে সব সামগ্রী চিন থেকে আমদানি করা হয়, তা দেশীয় প্রযুক্তিতেও তৈরি সম্ভব। প্রয়োজন শুধু সরকারি সাহায্যের।
আলো মানেই চন্দননগর। তিন দশকের বেশি সময় আগে আলোক শিল্পী শ্রীধর দাসের হাত ধরেই সেজেছিল একডালিয়া থেকে কলেজ স্কোয়ার। তারপর থেকে এখনও সেই আলোর সাজ চলে আসছে। পুজোর পাঁচটা দিন এখনও কলকাতা ভাসে গঙ্গাপারের চন্দননগরের আলোর রোশনাইয়ে। যে এলইডির কেরামতিতে শ্রীভূমি থেকে চন্দ্রযান উড়ত, তা এতদিন আসত চিন থেকে। এলইডি পিছু খরচ পড়ত মাত্র পঞ্চাশ পয়সা। সার্কিটও আমদানি করা হত চিন থেকে। সম্প্রতি পূর্ব লাদাখের গালোয়ান সীমান্তে ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি বদলেছে। দেশজুড়ে চিনা সামগ্রী বয়কটের ডাক উঠেছে। ইতিমধ্যেই চিনা অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এবার চিনা আলো বয়কটের পথে চন্দননগরের আলোক শিল্পীরাও।
আলোক শিল্পী প্রদীপ দাস বলেন, ‘এবার আমরা দেশীয় জিনিষ তুলে ধরব। হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু থেকে মাল এনে কাজ করব।’ আরেক আলোক শিল্পী বাবু পালের মতে, ‘আমাদের ভারতীয় লাইটের লাইফ অনেক বেশি, এতে শিল্পীরা লাভবানই হবে ৷’