RAJARSHI ROY
#বারাসত: আজ, মঙ্গলবার সকাল ন’টা নাগাদ মধ্যমগ্রাম থানার চৌবেড়িয়ায় একটি নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন অশোক সর্দার।বছর পঞ্চাশের অশোক সর্দার এলাকায় জমি জায়গা ও প্রমোটারির ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। আজ সকালে তাঁর প্রকল্প এলাকায় গন্ডগোল হচ্ছে শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তিনি। অভিযোগ, সেই সময় হেলমেট পড়া মোটর সাইকেলে আরোহী তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এরপর সেখান থেকে একটি ছোট গাড়িতে বারাসত মর্গ নিয়ে আসা হয় অশোক বাবুর দেহ। মর্গের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মৃতদেহ। তার মধ্যেই মৃতর পরিবার এসে পৌঁছায় হাসপাতালে। তাঁদের অভিযোগ, অশোক সর্দার মারা গিয়েছে কিনা তা নিয়ে চিকিৎসক কিছুই জানায়নি তাঁদের। তার মধ্যেই গুলি বিদ্ধ অশোক সর্দারকে মর্গে নিয়ে এসেছে পুলিশ। এর মাঝেই একে একে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা জড়ো হতে থাকেন বারাসত জেলা হাসপাতালের মর্গে। এখানেই এসে পৌঁছায় অশোক সর্দারের ছেলে লাল্টু সর্দার। তিনি মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে দাবি করেন, তিনি বিজেপির যুব মোর্চার সক্রিয় সদস্য। তাঁদের পরিবার বিজেপি পরিবার। গত দু’দিন আগেও তাঁদের বাড়িতে বিজেপির বৈঠক হয়েছে।
অশোক সর্দারের ছেলের অভিযোগ, সকাল ন’টা নাগাদ একটি ফোন আসে তাঁর বাবার মোবাইলে। সেই ফোন পেয়ে প্রজেক্ট এলাকায় যান অশোক । সেখানেই তাঁর বাবাকে গুলি করে খুন করা হয়। এই খুন তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই করেছে বলে তাঁর অভিযোগ। এ দিন বারাসত মর্গে আসে বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলার নেতা পিযুষ কানোড়িয়া। মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ এই নেতা এ দিন অভিযোগ করেন, স্রেফ বিজেপি করার কারণেই অশোক সর্দারকে গুলি করে খুন করল শাষক দল। তবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ও মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ এ দিন জানান, অশোক সর্দারের খুন ব্যবসায়িক কারণে। জমির দালালি ও প্রমোটারি জন্য অশোক সর্দারের প্রতিদ্বন্দ্বীরা এই কাজ করেছে। আর বিজেপি নেতা পিযুষ কানোড়িয়ার অভিযোগ, ব্যবসায়িক কারণেই যদি খুন হয় তাহলে দায় নিতে হবে রাজ্য সরকার ও পুলিশকে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাও এই সরকার দিতে পারছে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।