পূর্ব বর্ধমান: ভাতারের ভূমশোর গ্রামে রবিবার পরপর দুটি বাস দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত যাত্রীরা। ঘটনায় অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন যাত্রীদের অনেকেই। তাদের বক্তব্য, যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাস চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগী হোক প্রশাসন। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকার বাসিন্দারাও।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের বর্ধমান কাটোয়া রাস্তার ভূমশোর গ্রামে আজ সকাল থেকে পরপর দুটি বাস দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালি দুটি বাস রেষারেষি করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই বাস দুটি কাটোয়া থেকে বর্ধমান অভিমুখে যাচ্ছিল।
এর ঘণ্টা খানেক পরে আবারও বাস দুর্ঘটনা ঘটে ভূমশোর গ্রামেই। একটি বাস বর্ধমান থেকে কাটোয়া অভিমুখে আসছিল। বাসটি সজোরে ধাক্কা মারে একটি লরিকে। সেই লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি টায়ারের দোকানে ঢুকে যায়। বাসে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তাঁরা।ক্ষতি হয় বাস লরি ও দোকানটির। সকালে দুটি বাস ও পরের দুর্ঘটনায় বাস ও লরিটিকে আটক করেছে ভাতার থানার পুলিশ।
যাত্রীদের বক্তব্য, অনেক সময়েই চালকদের সচেতনতার অভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে। চালকরা অস্বাভাবিক গতিতে অনেক সময় বাস ছোটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন। নিত্যযাত্রীরা বলছেন, যাত্রীর প্রত্যাশায় প্রথমে ধীরগতিতে বাস চালানো হয়। ভাতার বাজার পার হওয়ার পর সময় কাটোয়া পৌঁছতে জোরে বাস চালানো হয়। তার ওপর পেছনে কোন বাস চলে এলে শুরু হয়ে যায় রেষারেষি। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটছে।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি বর্ধমান কাটোয়া রুটে বাস দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছিল জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। দুর্ঘটনা রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়। বাসের ছাদে যাত্রী তোলা নিষিদ্ধ করা হয়। বাসের ছাদে ওঠার সিঁড়ি কেটে দেওয়া হয়। বাসের ফিট সার্টিফিকেট পরীক্ষা করা হয়। ট্রাফিক আইন মেনে চলার ব্যাপারে বাসচালকদের সতর্ক করা হয়। এই বাসগুলির কোন ত্রুটি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
শরদিন্দু ঘোষনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।