#বর্ধমান: জনবহুল এলাকায় ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা পদে-পদে। তবুও দ্রুত জনগণের ভিড়ে মিশে যাওয়ার সুবিধার কথা ভেবেই বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেটের ব্যাংকের শাখাকেই ডাকাতির জন্য বেছে নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই মনে করছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। শুক্রবার বেলা পৌনে দশটা থেকে টানা ৫০ মিনিট কার্জন গেটের পাশে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখায় দুঃসাহসিক ডাকাতি করে ৬ জন দুষ্কৃতী। এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কোনও হদিস মেলেনি।
বর্ধমান শহরের হৃদপিণ্ড বলা হয় কার্জন গেট এলাকাকে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সরগরম থাকে এই এলাকা। ব্যাংকের নিচ, আশপাশে সার দিয়ে নানা দোকান। সব সময় লোক গিজগিজ করছে। তারই মধ্যে এমন দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় তাজ্জব বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার-রা বলছেন, দুষ্কৃতী দলটি বেপরোয়াভাবে এই অপারেশন চালিয়েছে। সাধারণত ব্যাংক ডাকাতির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এত বেশি সময় নেয় না দুষ্কৃতীরা। তার ওপর কার্জন গেটের মতো জনবহুল এলাকায় ধরা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি ষোলআনা। তা সত্ত্বেও ডাকাতির পর দ্রুত বাসিন্দাদের ভিড়ে মিশে যাওয়ার সুবিধার কথা ভেবেই সম্ভবত ডাকাতির জন্য এই ব্যাংকটি বেছে নিয়েছিল দুষ্কৃতী দলটি।
বর্ধমানের কার্জন গেটে সব সময় ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি। ৪০০ মিটার দূরে বর্ধমান থানা। ২০০ মিটার দূরে জেলা পুলিশ সুপারের অফিস। চারদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা। তা সত্ত্বেও এই এলাকায় অফিস টাইমে এমন ডাকাতির ঘটনায় কার্যত পুলিশের ঘুম ছুটে গিয়েছে। ডাকাতির খবর পাওয়ার পর থেকেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বর্ধমান শহরের সর্বত্র নাকা চেকিং চলছে। নাকা চেকিং হয়েছে জেলার অন্যান্য এলাকাতেও। তবুও দুষ্কৃতীদের কোনও হদিস মেলেনি। এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ তন্নতন্ন করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে বিভিন্ন দোকানের সিসিটিভি ফুটেজও। তার থেকে দুষ্কৃতীদের গতিবিধির আঁচ পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan