হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
সংক্রমণ ঠেকাতে ঘড়ি ধরে খুলছে বর্ধমান স্টেশন বাজার, জেনে নিন সময়

সংক্রমণ ঠেকাতে ঘড়ি ধরে খুলছে বর্ধমান স্টেশন বাজার, জেনে নিন সময়

সিদ্ধান্ত হয়েছে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখন আর বাজারে বেচা কেনা হবে না। এখন প্রতিদিন সকালে তিন ঘন্টা ও সন্ধ্যায় তিন ঘন্টা করে বাজার বসবে। প্রতিদিন সকাল সাতটায় বাজার বসবে।

  • Last Updated :
  • Share this:

সংক্রমণ ঠেকাতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বাজার বসার সময়। সকাল সন্ধে ঘড়ি ধরে খোলা বন্ধ হচ্ছে বাজার। কখন বাজার বসবে, কখন তা বন্ধ হবে তা বোর্ডে লিখে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদিন বাজারে বাসিন্দাদের আনাগোনা আটকাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বর্ধমানের রেল স্টেশন বাজারে।

রবিবার সকাল থেকেই বর্ধমানের স্টেশন বাজারে ছিল থিকথিকে ভিড়। বাজারে ঢুকে বোঝার উপায় ছিল না যে মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশ জুড়ে লক ডাউন চলছে। মানুষের সমস্যা মেটাতে লক ডাউনে বাজার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সবাইকে ঘরে থাকতেই পরামর্শ দিচ্ছে সরকার, প্রশাসন, ডাক্তার, বিশেষজ্ঞ সকলেই। কিন্তু সেই সতর্কতা না মেনে কিছু মানুষ অভ্যাস মতো বাজারে আসছেন রোজই। আর তাই দিনভর বাজার খোলা রাখার বদলে সময় কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বর্ধমানের স্টেশন বাজারে। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বিক্রেতারা সকলেই।

সিদ্ধান্ত হয়েছে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখন আর বাজারে বেচা কেনা হবে না। এখন প্রতিদিন সকালে তিন ঘন্টা ও সন্ধ্যায় তিন ঘন্টা করে বাজার বসবে। প্রতিদিন সকাল সাতটায় বাজার বসবে। চলবে বেলা দশটা পর্যন্ত। ফের বাজার বসবে বিকেল চারটেয়। বন্ধ হবে সন্ধ্যা সাতটায়। সময় মেনে বাজার বন্ধ করতে কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

রবিবার থেকে এই বাজারে এই নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছে। বিক্রেতারারা বলছেন, করোনার জেরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি সামলাতেই এই পদক্ষেপ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই নিয়ম মেনেই বাজার খোলা ও বন্ধ হবে। ক্রেতারাও যাতে হুড়োহুড়ির বদলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধীরে সুস্থে কানাকাটা করেন সেই আবেদনও করা হচ্ছে।  সচেতন ক্রেতারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

তারা বলছেন,অনেক আগেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল। শুধু স্টেশন বাজার নয়, নীলপুর, কালনা গেট,কলেজ মোড় সহ সব বাজারেই সময় বেঁধে দেওয়া হোক। ক্রেতা বিক্রেতা শহরবাসী সকলের স্বার্থেই এই বিধি নিষেধ জরুরি।

SARADINDU GHOSH

Published by:Arindam Gupta
First published:

Tags: Coronavirus, India Lockdown