Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: জাঁকিয়ে পড়া শীতকে সঙ্গী করে বছরের শেষ রবিবার পিকনিক মুডে কাটাল বর্ধমানবাসী। এদিন বর্ধমান শহর ও শহর লাগোয়া পিকনিক স্পটগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। খাওয়া দাওয়া হৈ হুল্লোড়ে দিন কাটলো উৎসবের মেজাজে।
নিত্য নতুন রেকর্ড গড়ছে শীত। গতকাল, শনিবার বর্ধমানের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ, রবিবার তা আরও কমে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসে নেমেছে। সেইসঙ্গে উত্তুরে হিমেল হাওয়া শীতের কনকনানি আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
তবে বছর শেষে জাঁকিয়ে পড়া শীতে খুশি শহরবাসী। বলা ভালো কনকনানি শীত রীতিমতো উপভোগ করছেন বাসিন্দারা। গরম পোশাকে শরীর ঠেকে এদিন চড়ুইভাতির মজা নিয়েছেন বর্ধমানের বাসিন্দারা। এদিন বর্ধমানের সদরঘাটে দামোদরের চর পিকনিক পার্টির ভিড়ে জমজমাট ছিল। মেমারির পাল্লা রোডের সেচ বাংলো , খন্ডঘোষের সংসারে দামোদরের চরে অনেকেই সপরিবারে পিকনিক করেছেন। পিকনিক পার্টির ভিড়ে জমজমাট ছিল লাকুড্ডি জলকল মাঠ, ইদিলপুর বাংলো ও তার আশপাশ। মাইক বাজিয়ে নাচ গান, বেগুনি মুড়ি, ধোঁয়া ওঠা কফি।
শুধু সদরঘাটেই এদিন দেড়শ পিকনিক পার্টি চড়ুইভাতিতে অংশ নেয়। বর্ধমানের লাকুড্ডি জলকল মাঠে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। আউশগ্রামের ভালকি মাচানের জঙ্গলে চড়ুইভাতির সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করলেন অনেকেই। শাল পিয়ালের জঙ্গলের মাঝে আঁকাবাঁকা পথ, রাজ আমলের ওয়াচ টাওয়ার ঘুরে দেখলেন অনেকেই।
তবে জিনিস পত্রের দামে বেকায়দায় পড়েছে ক্যাটারার সংস্থাগুলি। তাঁরা বলছেন, অনেকেই এখন রান্নাবান্নার হেফা না রেখে ক্যাটারারের ওপর সব দায়িত্ব দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু জিনিসপত্রের দামের কারনে লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না। আলু তিরিশ টাকা ছুঁই ছুঁই । পেঁয়াজ ১০০ টাকার ওপরে। আদা রসুনের দামও আকাশ ছোঁয়া। মাঝারি ফুলকপি ২৫ টাকা পিস, বাঁধাকপি, গাজর, ক্যাপসিকাম, মুগ ডাল , মুসুর ডাল সবেরই দাম বেশি।
তবে উৎসবের দিনে দাম নিয়ে ভাবার ফুরসত নেই বাঙালির। তাই খিচুড়ি বেগনি ডিমভাজায়, কিংবা মাংসের ঝোল ভাতে জমে উঠলো পিকনিক। শেষ পাতে নলেন গুড়ের রসগোল্লা, দুপুরে কমলালেবু তো মাস্ট।