Mritunjoy Das
#বাঁকুড়া: স্কুল কলেজ, অফিস কাছারি, শপিং মল, রেস্তোরাঁ, আধুনিক নাগরিক পরিষেবা নিয়ে হাইটেক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেজে উঠেছে বাঁকুড়া শহর। পুরাতন শহরের খোলস ছেড়ে আজ যথেষ্ট উন্নত এই শহর। সৌন্দর্য্যায়ন তো বটেই, বদলেছে শহরের রাতের চিত্রটাও। শহরের গলি থেকে রাজপথ এলইডি আলোর রশ্মিতে ঝলমল করে এখন রাতের শহর বাঁকুড়া। উজ্জ্বল আলো আজ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে শহরকে। এখন অনেক বেশি নিজেদেরকে সুরক্ষিত বলে মনে করেন শহরবাসী। একসময় যে অঞ্চলগুলিতে রাতের অন্ধকারে চলত অসামাজিক নানান রকম কার্যকলাপ, বর্তমানে সে সমস্ত জায়গায় ইলেকট্রিকের আলো পৌঁছে যাওয়াই কমেছে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য।
কয়েক দশক আগেও রাতে শহরের চিত্র ছিল একেবারে অন্যরকম। বাল্বের লাল টিমে টিমে আলোয় এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকতে। আবার দুর্বৃত্তরা তাদের অসাধু কাজের জন্য মাঝে মাঝে সে আলো ভেঙে দিলে এলাকায় ঢুকে যেত ঘুটঘুটে অন্ধকারে। সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারের মুখ ঢাকত শহর লাগোয়া আশপাশের এলাকা গুলি। মানুষজন নিজেদেরকে গৃহবন্দী করে ফেলতেন সন্ধ্যা নামার আগেই। রাস্তাঘাটে ভয় ছিল চুরি ছিনতাইয়ের। ছাত্রছাত্রীদের টিউশন পড়ে ফেরার সময় চরম অনিশ্চয়তা আর ভয় কে সঙ্গী করেই চলতে হত। আতঙ্কে থাকতেন তাঁদের বাড়ির অভিভাবকেরাও। বাড়ির মানুষ সঠিক সময় মতো বাড়িতে না ফেরা পর্যন্ত দুশ্চিন্তায় থাকতেন বাড়ির মানুষেরাও। আজ সে সবই অতীত। উজ্জ্বল নীল আলোয় এখন রাতের বাঁকুড়া শহর চওড়া হাসি হাসছে। নিরাপদে আছেন শহরবাসী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bankura