#বর্ধমান: প্রতিদিনই ঝড়-বৃষ্টি। মাঠে জমে যাচ্ছে জল। তার ফলে সময় পার হয়ে গেলেও বোরো ধান কাটতে পারছেন না পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা। তাঁরা বলছেন, ধান কাটা বা ধান মাঠ থেকে তুলে আনার জন্য শুকনো আবহাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঠে জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তার ফলে ধান কাটা যাচ্ছে না।এদিকে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার বোরো ধানের ফলন নিয়ে চিন্তায় কৃষকরা।
রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ধান উৎপন্ন হয় পূর্ব বর্ধমান জেলায়। এই জেলার ভাতার,মন্তেশ্বর,কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, মেমারি, কাটোয়া,গলসি,খণ্ডঘোষ, রায়না, আউশগ্রাম, কালনায় প্রচুর পরিমাণে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। ধানের ফলনও এবার ভালোই হবে বলে আশা করেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু দফায় দফায় বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি কাল বৈশাখী ঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন অনেক কৃষকই।
কিছু কৃষক ধান কাটার কাজ শুরু করেছিলেন। তাঁদের কাটা ধান মাঠেই পড়ে রয়েছে। বৃষ্টির জলে সেই ধান ভেসে গিয়েছে। তা থেকে আর ফল মিলবে না বলেই মনে করছেন কৃষকরা। একইভাবে অনেকেরই ধান কাটার সময় পার হয়ে যাচ্ছে। মাঠে জল জমে থাকায় ধান কাটতে পারছেন না কৃষকরা। তাঁরা বলছেন, ধান কাটার পর মাঠে শুকিয়ে নেওয়া জরুরি। কিন্তু সেই শুকনো মাঠ পাওয়া যাচ্ছে না। তার ফলেই ধান কাটতে দেরি হচ্ছে। তার ওপর আবার মুষলধারে বৃষ্টি, ঝড়ে ধান ঝরে যাচ্ছে। ধান গাছ মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।
জেলায় পয়লা মে থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ শুরু হয়ে গেলেও এখনও ধান তোলার কাজ শুরু না হওয়ায় সেই সুযোগ নিতে পারছেন না কৃষকরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, যে পরিমাণ ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে প্রথম সপ্তাহে তার থেকে অনেক কম পরিমাণে ধান কেনা সম্ভব হয়েছে। বেশির ভাগ চাষী আগের মরশুমের আমন ও আউশ ধান বিক্রি করেছেন। চলতি বোরো ধান পেতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলেই মনে করছেন তাঁরা ।
SARADINDU GHOSH