#বর্ধমান:খুন নয়। জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে পূর্বস্থলীর বিজেপি কর্মী সুখদেব প্রামানিকের। ময়না তদন্তের পর প্রাথমিক রিপোর্টে তেমনই মত বিশেষজ্ঞদের। জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, নিয়ম মেনে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগে। তবে প্রাথমিক যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তাতে ওই ব্যক্তি জলে ডুবে মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে যদিও খুনের মামলা রুজু করে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
রবিবার দুপুরে পূর্বস্থলীর নিমদহ গ্রামে একটি খালে সুখদেব প্রামানিকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। শুক্রবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ওই যুবকের বাবা সুনীল প্রামানিক বলেন, আমার ছেলে বরাবর বিজেপি করত। শুক্রবারও বিজেপির একটি মিছিলে যোগ দিয়েছিল। রাত এগারোটার সময় সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকে আর তার কোনও খোঁজ মিলছিল না।ছেলের মৃতদেহে আঘাতের চিহ্নও ছিল। তাছাড়া ওই জলাশয়ে এখন হাঁটুর নিচে জল।তাতে কারও ডুবে মৃত্যু হওয়ার কথা নয়। আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।আমরা চাই পুলিশ যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক।
দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে রবিবার পূর্বস্থলীতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। গতকাল কাটোয়ার বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধ, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও ।তিনি মৃতের বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, তৃণমুল আগেই বলেছিল জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে আমাদের কর্মীর। তাদের সেই ঠিক করে দেওয়া গাইডলাইন মেনে পুলিশ একই কথা বলছে। বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বগের। আমরা ময়না তদন্তের এই রিপোর্টের ওপর আস্থা রাখতে পারছিনা। আমরা এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করছি।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের চোখের উপর একটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে সেই আঘাতের কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়নি বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস বলেন, দলীয় কর্মী সমর্থকরা প্রেমে প্রত্যাখ্যান হয়ে গলায় দড়ি দিয়ে বা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেই বিজেপি তা খুনের ঘটনা বলে উল্লেখ করে তৃণমূলকে দোষারোপ করছে। ওই যুবক জলে ডুবে মারা গিয়েছে বলে আমরা আগেই স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়েছিলাম। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।
Saradindu Ghosh