Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: দিনে দুপুরে বর্ধমানে দলীয় কার্যালয়ে কেন ধুন্ধুমার কান্ড ঘটলো তার বিশ্লেষন শুরু করলো বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে একের পরে এক বিজেপির রাজ্য নেতা বর্ধমানের দলীয় কার্যালয় আসেন। রাত পর্যন্ত জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, কেনই বা এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলো তা সবিস্তারে জানতে চান তাঁরা। এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে বিজেপির রাজ্য নেতারা জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার পর থেকেই রাজ্য নেতৃত্ব ঘটনাক্রমের উপর নজর রাখছিলেন। সন্ধ্যা নাগাদ কলকাতা থেকে বর্ধমানে দলের জেলা কার্যালয়ে আসেন বিজেপি রাজ্য নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছে যান বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তার আগে রায়নায় নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানে সৌমিত্র খাঁ জানান, ঘটনার তদন্ত করছে দল। দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরে জড়িতদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার করা হবে। যদিও রাতে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা উড়িয়ে দেন তিনি।
বিজেপি নেতা রাজু বন্দোপাধ্যায় জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেন, এলাকায় বিজেপির প্রভাব বেড়েই চলেছে। তাতেই ভীত হয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে বুঝতে পেরেই পরিকল্পিতভাবে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃতদের সকলেই বিজেপি নেতা কর্মী বলে জানানো হলে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রকৃত দোষীদের বাদ দিয়ে পুলিশ বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের ধরেছে। যদিও এই ঘটনা পুরোপুরি বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, নিজেরাই দলীয় অফিস ভাঙচুর করে এখন তার দায় তৃণমূলের ওপর চাপাতে চাইছে বিজেপি।