#কলকাতা: অবিলম্বে সি এ এ কার্যকর করে মতুয়াদের এ দেশের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করার দাবি তুললেন বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এখনও পর্যন্ত সিটিজেন আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট কার্যকর না হওয়ায় এদিন তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন।তিনি বলেন,২০১৯ সালে সিটিজেন এমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট পাস হয়ে গেলেও এতদিনে তা কেন কার্যকর করা গেল না? কিসের ভয় আপনাদের? কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি প্রশ্ন তুললেন বিজেপিরই সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। রবিবার কালনার আশ্রমপাড়ায় মতুয়াদের সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। সেখানেই মতুয়াদের দাবি নিয়ে তিনি কেন্দ্রের সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন।তিনি বলেন, সারা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারত জুড়ে সাড়ে পাঁচ কোটি নমঃশূদ্র মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। এরা আজকে নাগরিক হবে না তো হবে কবে? তাই সমাজে এই ইমপ্লিমেন্ট যতক্ষণ না হচ্ছে মিটিং-মিছিল চলবে। মানুষকে একত্রিত করে আন্দোলন চলবে। এজন্য অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহা সংঘ সর্বক্ষণ আপনাদের পাশে আছে। মতুয়া মহা সংঘ নমঃশূদ্র ও পিছিয়ে পড়া বাসিন্দাদের নিয়ে মজবুত সমাজ গড়ে তুলতে চায়। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ সবাইকে সদস্য কার্ড দেবে। তার বাংলাদেশে কোথায় বাড়ি ছিল বাংলাদেশের কোন জেলা থেকে এসেছে তার আলাদা করে কোনও প্রমান পত্র দিতে হবে না। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ তার দায়িত্ব নেবে। তাই যারা আধার কার্ড, ভোটার কার্ড চাইছে তাদের উপেক্ষা করুন। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহা সংঘের কার্ডই হবে সবচেয়ে বড় পরিচয় পত্র। এই পরিচয় পত্র ধরেই সিটিজেন কার্ড ঘরে ঘরে আসবে। ভারত সরকারের কাছে একটাই আবেদন সিএএ অবিলম্বে সমাজে কার্যকর করুন।
তিনি বলেন,যতক্ষণ না হাতে সিটিজেন কার্ড আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সংবিধান সম্মতভাবে এদেশের নাগরিক নয়। হঠাৎ করে একদিন রোহিঙ্গাদের মতো যে আমাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে? কোন সরকারের দায়িত্ব নেবে,তাই আমাদেরই তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BJP