#সিউড়ি: স্বপ্নের 'উড়ান' হবে কি ডেউচা-পাচামি? বীরভূমের সাঁইথিয়া ও রামপুরহাট বিধানসভা এলাকার মধ্যেই ভাগাভাগি হয়ে থাকা ডেউচা-পাচামি ঘিরে এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে। তবে সুসংহত শিল্পের বিকাশ ঘটলে যে কর্মসংস্থান হবে আর তাতে স্থানীয় প্রশিক্ষিতদের সুযোগ মিলবে সেটা ভালোই বুঝেছে হিংলো, ভাঁড়কাটা,ডেউচা, সেকেড্ডা এলাকার মানুষ। আর সেই প্রশিক্ষণের জন্যেই গ্রামে গ্রামে সাহায্য করছে বীরভূম জেলা পুলিশের উড়ান প্রকল্প।উড়ান প্রকল্পের সহায়তায় আসলে বীরভূম জেলা জুড়ে স্কিল ডেভালপমেন্টের কাজ করে প্রশাসন৷ থানায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কম্পিউটার। প্রশিক্ষিত করে তোলা হয় প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষার জন্যে।
আগামী দিনে ডেউচা-পাচামি জুড়ে কাজ শুরু হলে স্কিল ডেভেলপমেন্ট যে কাজ ভালোই দেবে তা ভালোই বুঝেছেন ডাক্তার কিস্কু, সোমনাথ হাঁসদা, জয়রাম হাঁসদা, সোমনাথ হাঁসদা, জন হাঁসদা। হরিণসিংহা এলাকার সোমনাথ হাঁসদা। বিএ পাশ করা ছেলে উড়ানের মধ্যে দিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে৷ সোমনাথ জানাচ্ছে, "বর্তমান সময়ে যে বাজারের অবস্থা, তাতে চাকরির বাজার ভালো নয়। এখানে শিল্প আসলে চাকরি পেয়ে যাব। আমার মতো অনেকেই আছেন যারা চাকরি পেয়ে যাবেন৷ আর উড়ানে আমাদের সেই ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে।"
গ্রামে যাদের জমি আছে তারা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পেলেই সরকারের কথায় রাজি হবেন এমনটা জানাচ্ছে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র জয়রাম হাঁসদা ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সন্তোষ হাঁসদা। এরাও অবশ্য 'উড়ান' প্রকল্পের সাহায্যে উড়তে চায়। দুজনেই বলছে, "আসলে চাকরির জগৎটা কেমন তার জন্য আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফলে গ্রামে যদি শিল্প হয় তাহলে আমাদের চাকরি হয়ে যাবে।"
আরও পড়ুন-মেঘলা আকাশ থেকে শাপমুক্তি আজ, কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া
ডেউচা-পাচামি নিয়ে যেমন রাজ্য আশার কথা শোনাচ্ছে। ঠিক তেমনই ডেউচা-পাচামি ঘিরে একাধিক কিন্তু কাজ করছে গ্রামবাসীদের মনে। আর তাই এখন থেকেই ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এই সব এলাকায় সংযোগ স্থাপনে একাদিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। যার মধ্যে অন্যতম হল, গ্রামে পাঠশালা চালু করা।
আরও পড়ুন-২০ মাস পর খুলছে স্কুল! আজ থেকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে এই নিয়মগুলি, দেখে নিন স্কুল খোলার শর্তগুলি...
গ্রামে গেলেই দেখা যাবে নাটমন্দিরে বাচ্চাদের পড়াশোনা শেখানো হচ্ছে। সেখানে প্রকল্প এলাকার প্রচুর প্রান্তিক অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনার জন্যে আসছেন৷ গ্রামে গ্রামে শেখানো হচ্ছে বাচ্চাদের ফুটবল। সেখানে ছেলে-মেয়ে উভয়েই আসছে। মহম্মদবাজার থানায় গিয়ে দেখা গেল, সেখানে কম্পিউটার শেখানো হচ্ছে। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, "এলাকায় শিল্প শুরু হলে প্রচুর গাড়ি প্রয়োজন হবে। পরিবহণের জন্যে ড্রাইভার লাগবে৷ সেই কারণে আমরা রাজ্য পরিবহণ দফতরের সাথে কথা বলেছি। চেষ্টা চলছে শীঘ্রই চালকের জন্যে প্রশিক্ষণ শুরু করে দেওয়ার। এছাড়া খেলা, শিক্ষা দুটি ক্ষেত্রেই নিয়ম করে আমাদের নজর আছে।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birbhum, Deucha Pachami