#বীরভূম: শিক্ষক হোক অথবা শিক্ষিকা, নিজেদের বিয়ের অনুষ্ঠানে স্কুলশুদ্ধ পড়ুয়াদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর ঘটনা ঘটতে সচরাচর দেখা যায় না অথবা হয়ে ওঠে না। তবে এবার বীরভূমের (Birbhum) এক শিক্ষক (Teacher) ও শিক্ষাকর্মী তাদের বিয়েতে স্কুলশুদ্ধ পড়ুয়াদের মধ্যাহ্নভোজন করিয়ে নজির গড়লেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখ বীরভূমের সিউড়ির সমন্বয়পল্লীর মহেন্দ্রনাথ পালের সঙ্গে বিয়ে (Wedding) হয় সিউড়ি সাজানোপল্লীর অর্পিতা রায়ের। এই বিয়ের পাত্র এবং পাত্রী দুজনেই বীরভূমের সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের কড়িধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল এন্ড পাবলিক ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী (Wedding of Teacher)।
পাত্র মহেন্দ্রনাথ পাল হলেন গণিতের শিক্ষক এবং পাত্রী অর্পিতা রায় শিক্ষা কর্মী। দুজনের শুভ বিবাহের পর ২২ ফেব্রুয়ারি প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। ঐদিন প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীরা। তবে উপস্থিত ছিলেন না এই বিদ্যালয়ের প্রধান সদস্য ছাত্রছাত্রীরা। সেই দিন ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি না থাকলেও শনিবার তাদের জন্য স্নেহ ভোজনের আয়োজন করলেন এই নব দম্পতি।
নিজেদের বিয়ের (Wedding) আনন্দকে ভাগ করে নেওয়ার জন্য শনিবার স্কুলে আয়োজন করা হয় এই স্নেহ ভোজনের। যে স্নেহ ভোজে স্কুলের কয়েকশো পড়ুয়ারা পেট পুরে খাওয়া-দাওয়া করলেন। স্কুলের এই শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী তাদের স্নেহের পড়ুয়াদের জন্য এদিন স্কুল ছুটির পর মধ্যাহ্নভোজে খিচুড়ি, চিকেন এবং চাটনির আয়োজন করেছিলেন। স্কুলে এমন স্নেহ ভোজ পেটে পুরে আনন্দিত স্কুলের পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন - Paschim Bardhaman: একের পর এক শবদেহ মিলছেই, বরাকর নদীর নৌকাডুবিতে উদ্ধার বাইকও
পাত্র তথা স্কুলের শিক্ষক মহেন্দ্রনাথ পাল জানিয়েছেন, "শিক্ষক অথবা শিক্ষা কর্মীদের বাড়িতে জন্মদিন, বিবাহ অথবা অন্যকোন শুভ অনুষ্ঠান থাকলে সেই শুভ অনুষ্ঠানের আনন্দ আমরা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য তিথি ভোজনের বা স্নেহ ভোজনের আয়োজন করে থাকি। সেইমতো আমরা যখন নতুন জীবন শুরু করলাম, সেই আনন্দকে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আজকের এই তিথি ভোজনের বা স্নেহ ভোজনের।"
অন্যদিকে পাত্রী এবং শিক্ষাকর্মী অর্পিতা রায় জানিয়েছেন, "স্কুলের এই ছাত্র ছাত্রীরা আমাদের পরিবারের সদস্যের মতো। আমাদের বিয়ের প্রীতি ভোজনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যরা উপস্থিত থাকতে পারলেও এতসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিত করানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে আমাদের আনন্দ তাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে তাই আজ এই স্নেহ ভোজনের আয়োজন করা হয়েছে। এইভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের স্নেহভোজে অংশ গ্রহণ করাতে পেরে আনন্দ ধরে রাখা যায় না।
Madhab Das
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।