#বীরভূম: নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে বারবার নানা ধরনের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রার্থীদের। কখনও জলের জন্য তৃণমূল প্রার্থীকে প্রশ্ন, কখনও নন্দীগ্রামে খোদ শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে ঝাঁটা হাতে মহিলাদের বিক্ষোভ। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী গ্রামে আসার আগেই গ্রামের প্রবেশপথে ঝাঁটা-জুতো ঝুলিয়ে প্রতিবাদ! হ্যাঁ, এবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল লাভপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে ঘিরে। লাভপুরের সোমডাঙ্গা গ্রামে ঘটল এমন ঘটনা। গ্রামের রাস্তায় ঝাঁটা, চটি ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
বীরভূমের লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল বৃহস্পতিবার প্রচারে গিয়েছিলেন সোমডাঙ্গা গ্রামে। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী তাঁর অনুগামীদের নিয়ে গ্রামে ঢোকার আগেই দেখেন গ্রামে ঢোকার মুখেই ঝাঁটা-জুতো দড়ি দিয়ে টাঙানো রয়েছে। এরপরই বিজেপির প্রচার মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘আমি মানুষের ঘরে-ঘরে গিয়ে প্রচার করছি। এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু হেরে যাওয়ার ভয়ে দুষ্কৃতীদের দিয়ে তৃণমূল রাস্তায় জুতো-ঝাঁটার মালা টাঙিয়ে রখেছে। আমি এই জুতো মাথা পেতে নিলাম। কিন্তু আমি জানি, এর বিচার মানুষই করবে। ২ মে'র পর এই জুতো তৃণমূলের মাথায় পড়বে।’
যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লাভপুর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সদস্য অভিজিৎ সিংহ। তাঁর কথায়, ‘ওই এলাকায় বিজেপির পায়ের তলায় জমি নেই। ভোটে ব্যাপকভাবে হারবে ওরা। সেটা বুঝেই নিজেদের দুর্বলতা ঢাকার জন্য নিজেরাই এমন কাজ করেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন যোগ নেই।'
এবারই অবশ্য প্রথম নয়, দিন কয়েক আগেই আরও একবার লাভপুরের বিজেপি প্রার্থীকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থী গ্রামে ঢোকার আগেই রাস্তা আটকেই শুরু করা হয় ‘খেলা হবে’ গান, সঙ্গে চলতে থাকে ডিজে বাজিয়ে নাচ। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশ্য সেবার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো যায়।