#বীরভূম: সততার নজির গড়লেন বীরভূমের নলহাটির যুবক। কুড়িয়ে পেয়েছিলেন এক লক্ষ টাকা, সেই টাকা থানায় জমা দিলেন শরিফুল শেখ ও তাঁর পরিবার। কিন্তু কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ টাকা পেয়েছিলেন তিনি? জানা যায়, আজ দুপুরে নলহাটি থানার শ্রীপুর গ্রাম থেকে নলহাটি শহরে আসেন শরিফুল। শহরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম-এ টাকা তুলতে ঢোকেন তিনি । এটিএম রুমে দেখতে পান পায়ের কাছে পাঁচশো টাকার নোটের দুটি বান্ডিল পড়ে রয়েছে । এরপরই ওই টাকা নিয়ে শরিফুল সোজা চলে যান নলহাটি থানায় । থানার আধিকারিকের কাছে সেই টাকা জমা করেন তিনি। সততার জন্য ওই যুবককে নলহাটি থানার পক্ষ থেকে সংবর্ধিত করা হয়।
অন্যদিকে, দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে মাধ্যমিকে সাফল্য পেল বাঁকুড়ার মুড়ি বিক্রেতা জীবন। ভোলা হিরাপুর আদর্শ বিদ্যাপীঠৈর ছাত্র জীবন পাত্র। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের পুনিশোল গ্রামপঞ্চায়েতের ধান্দা গ্রামের বাসিন্দা। হতদরিদ্র বাড়ির ছেলে জীবন এ'বারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় হয়তো প্রথম দশ জনের মধ্যে জায়গা করতে না পারলেও তার মেধা কোন অংশে কম নয়। প্রতিনিয়ত জীবন যুদ্ধে লড়াই করে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৩৩। টেলিভিশন বা কোনও সংবাদপত্রের পাতায় হয়তো সে জায়গা করে নিতে পারেনি। কিন্তু জীবনের জীবন যুদ্ধের কাহিনী চোখে জল আনার মতো। ধান্দা গ্রামের এক চিলতে ভাঙ্গা টিনের বাড়িতে দিন গুজরান জীবনের পরিবারের। তাও অধিকাংশটাই ভেঙে গিয়েছে। বৃষ্টি হলেই বাড়িতে ঢুকে পড়ে জল।ছোট বেলা থেকে দারিদ্রের অভাবের মধ্যে তাকে পড়াশোনা করতে হয়েছে। বাড়ির মধ্যেই উনুনের গনগনে আগুনের তাপে পুড়তে পুড়তে প্রতিদিন মুড়ি ভাজেন জীবনের মা প্রতিমা পাত্র। আর সেই মুড়ি পুনিসোল এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন বাবা মদন পাত্র। আর এইভাবেই মুড়ি বিক্রি করে সংসার চলে জীবনদের। বাড়িতে রয়েছে জীবন জীবনের বাবা এবং মা। দিদির বিয়ে হয়ে গেছে। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অভাবের সংসারে যেনো এক উজ্বল নক্ষত্র জন্ম নিয়েছে তার নাম জীবন।
Akshay Dhibarনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birbhum