#ভাটপাড়া: ছন্দে ফিরল ভাটপাড়া, বেশ কয়েকদিন পর চেনা ছবি ভাটপাড়ায়। ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়ায় স্বাভাবিক জনজীবন। খুলেছে দোকান-বাজার, চালু স্কুল। পথে নেমেছে বাস, চলছে অটো-টোটো।
বৃহস্পতিবার রণক্ষেত্রর রূপ নেয় ভাটপাড়া। এলাকা দখল ঘিরে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে নিহত ৩। আহত চার। চলতে থাকে দফায় দফায় বোমাবাজি সঙ্গে গুলির লড়াই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস, শূন্যে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ।
লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই উত্তপ্ত ভাটপাড়া। এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল ভাটপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের। তার আগেই ফের দুষ্কৃতী তাণ্ডবে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল এলাকা। বৃহস্পতিবার, বেলা ১০টায় নতুন তদন্তকেন্দ্র উদ্বোধনে ব্যস্ত ছিল পুলিশ। বেলা এগারটায় তদন্তকেন্দ্র উদ্বোধন করতে আসার কথা ছিল রাজ্য পুলিশের ডিজির। আচমকা ভাটপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পিছনের রাস্তায় শুরু হয় বোমাবাজি। ২০ নম্বর গলি থেকে মুহুর্মুহু উড়ে আসতে থাকে বোমা। আধঘণ্টা ধরে কাঁকিনাড়া স্টেশন, ভাটপাড়া পুরসভা সংলগ্ন বিভিন্ন বস্তি এলাকায় বোমাবাজি চালায় মুখ-ঢাকা দুষ্কৃতীরা। চলে গুলিও।
পুলিশ প্রথমে দুষ্কৃতীদের তাড়া করলেও , সংখ্যায় কম থাকায় ফিরে আসতে হয়। পরে বিশাল বাহিনী নিয়ে এলাকায় ঢোকে পুলিশ। নামে র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। শুরু হয় দু’পক্ষের খণ্ডয়ুদ্ধ ।
পুলিশকে লক্ষ করে বোমা, গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। গণ্ডগোল থামাতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। চলে কাঁদানে গ্যাস। দুষ্কৃতীদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোঁড়ে পুলিশ। দু’পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। মৃত্যুও হয়। জখমও হন বেশ কয়েকজন। ঘণ্টা তিনেক তাণ্ডবের পর চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
এলাকা থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
নতুন করে গোলমালে আতঙ্ক বাড়তে থাকে। ঘটনার পর থেকেই বন্ধ দোকান-বাজার । অনেকেই আতঙ্কে এলাকা ছাড়তে শুরু করেন। প্ররোচনা বা গুজব ছড়ানো রুখতে বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক যে নির্দেশিকা জারি করেন, তাতে বলা হয়, বারাকপুর, বসিরহাট, বনগাঁ মহকুমায় ইন্টারনেট পরিষেবা শুক্রবার মাঝরাত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে, বারাকপুর মহকুমার মধ্যে থাকা দমদম থানা, বিমানবন্দর থানা, এনএসসিবিআই এয়ারপোর্ট থানা এলাকাকে এই নির্দেশিকার বাইরে রাখা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জগদ্দল ও ভাটপাড়ায় ১৪৪ ধারা জারি করে রাজ্য প্রশাসন।